সংবাদ শিরোনাম

রাজ্যে প্ৰথম দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ রাজ্যে বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হলো পাঁচ কেন্দ্ৰে প্ৰথম দফার লোকসভা নির্বাচন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪১ জন প্ৰার্থীর ভাগ্য ইভিএম এবং ভিভিপিএটি মেশিনে বন্দি হলো। ভোট নেওয়া হয় ৯,৭৪৫টি ভোট কেন্দ্ৰে। রাজ্যের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে যোরহাট,ডিব্ৰুগড়,তেজপুর,কলিয়াবর ও লখিমপুর এই পাঁচ কেন্দ্ৰে বৃহস্পতিবার প্ৰথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উজান অসমের আসনগুলিতে ৬৭.৪ শতাংশ ভোট পড়ার খবর পাওয়া গেছে এই প্ৰতিবেদন লেখা পর্যন্ত। তবে এই সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ,প্ৰতিবেদন লেখার সময়ও বেশকটি পোলিং স্টেশনে ভোটগ্ৰহণ চলছিল।

প্ৰথম দফার নির্বাচনে লখিমপুরে ১১ জন,যোরহাট ও ডিব্ৰুগড়ে ৮ জন করে এবং তেজপুর ও কলিয়াবর ৭ জন করে প্ৰার্থীর ভাগ্য এদিন নির্ধারিত হয়।

রাজ্য নির্বাচন বিভাগের একটি সূত্ৰ দ্য সেন্টিনেলকে বলেছে,তেজপুর সংসদীয় কেন্দ্ৰে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ। কলিয়াবরে ৬৪,যোরহাটে ৭২,ডিব্ৰুগড়ে ৬৯ এবং লখিমপুরে ৬২ শতাংশ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করেছেন।

অন্যদিকে ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে তেজপুর ৭৮.০৬,কলিয়াবরে ৮০.১৭,যোরহাটে ৭৮.৩৭,ডিব্ৰুগড়ে ৭৯.৩৭ এবং লখিমপুর কেন্দ্ৰে ৭৭.৭৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেবার এই পাঁচ কেন্দ্ৰে মোট ভোট পড়েছিল ৭৮.৭৯ শতাংশ।

গতকাল পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্ৰের কয়েকটি ভোট গ্ৰহণ কেন্দ্ৰে ইভিএম গোলোযোগের জন্য ভোট গ্ৰহণে কিছুটা দেরি হয়। বেশকটি পোলিং বুথে ইভিএম পাল্টাতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। যে সব ভোট কেন্দ্ৰে ইভিএমে ত্ৰুটি দেখা গেছে সেগুলি হলো চাবুয়া এলপি স্কুল,মাজুলির ১২৩ নং ভোট কেন্দ্ৰ,বটদ্ৰবার রাইডিঙিয়া এলপি স্কুল,টিয়কের বাম কুকুরাসুওয়া এলপি স্কুল এবং ডিগবয়ের বিবেকানন্দ হাইস্কুল।

গত কয়েকদিন টানা প্ৰচার অভিযানের পর মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল গতকাল নিজের গৃহ শহর ডিব্ৰুগড়ে নিজের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করেন। নিজের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করে সোনোয়াল সাংবাদিকদের বলেন,তিনি মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখেছেন তাতে তারা মোদিকেই আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আনার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ যোরহাট কেন্দ্ৰে নিজের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করেছেন। গগৈ বলেন,‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতবো। কংগ্ৰেস কলিয়াবরে রেকর্ড ভোটে জিতবে। বিজেপি যোরহাট,ডিব্ৰুগড় উভয় আসনেই হারবে’।

ওদিকে ডিব্ৰুগড় আসনের বিজেপি প্ৰার্থী রামেশ্বর তেলি দুলিয়াজানে নিজের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করে বলেন,‘আমার হিসেব বলছে ২০১৪-এর চেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে আমরা জিতবো।

তেজপুর কেন্দ্ৰের বিজেপি প্ৰার্থী পল্লবলোচন দাস নিজের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করে বলেন,‘অসম এবং সারা দেশের মানুষ প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদির নেতৃত্বে একটা শক্তিশালী দেশ গড়ার লক্ষ্যে তাকিয়ে আছেন। তাঁরা নিশ্চিতভাবে মোদিকেই আরও একবার ক্ষমতায় বসাবেন’। তেজপুর কেন্দ্ৰে কংগ্ৰেস প্ৰার্থী এমজিভিকে ভানু নিজের ভোটাধিকার প্ৰয়োগ করে বলেন,‘নাগরিকত্ব বিল ইস্যুতে রাজ্যের মানুষ এমনিতেই চটে আছেন। তাই তাঁরা এবার বিজেপির বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন’।