সংবাদ শিরোনাম

সন্ত্ৰাসী ও আশ্ৰয়দাতাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর সেনাঃ মোদি

Sentinel Digital Desk

নয়াদিল্লিঃ পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্ৰুয়ারি আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনাই সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই চালাতে দেশকে উদ্বুদ্ধ করেছে। সন্ত্ৰাসী এবং তাদের সমূলে উপড়ে ফেলার জন্য সেনার এই নিরন্তর লড়াই চলছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি রবিবার বলেন,‘জঙ্গি এবং তাদের ঘাঁটি’ গুড়িয়ে ফেলতে সেনাবাহিনী উঠেপড়ে লেগেছে। শহিদ হওয়া জওয়ানরাই সন্ত্ৰাসের শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য নিরন্তর লড়াই জারি রাখতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। দেশের সামনে দেখা দেওয়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা আমাদের করতেই হবে। জাতপাত,সাম্প্ৰদায়িকতা,আঞ্চলিকতাবাদ এবং অন্যান্য ভেদাভেদ ইত্যাদি আমাদের ভুলে যেতে হবে। তাহলেই সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আর সুদৃঢ়,শক্তিশালী সক্ৰিয় হয়ে উঠবে-বলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।

মোদি আরও বলেন,সশস্ত্ৰ বাহিনী শান্তি প্ৰতিষ্ঠায় ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে লাগাতার কাজ করছে তেমনি অন্যদিকে আক্ৰমণকারীদের পাল্টা জবাব দেওয়ারও পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। ‘আপনারা দেখছেন,সন্ত্ৰাসী আক্ৰমণের একশো ঘন্টার মধ্যেই সেনা জওয়ানরা পাল্টা জবাব দিয়েছে। সন্ত্ৰাসী এবং তাদের আশ্ৰয়দাতাদের শিকড় সমূল উপড়ে ফেলতে মরিয়া হয়ে লেগেছে সেনাবাহিনী।

প্ৰধানমন্ত্ৰী এদিন তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ বক্তব্য রাখছিলেন। সন্ত্ৰাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের পদক্ষেপ দৃঢ়তর করতে তিনি জনগণকে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ পরিহারের আহ্বান জানান। যে সব সাহসী ও বীর জওয়ান শহিদ হয়েছেন এবং তাদের নিকটাত্মীয়রা এই শোকের মুহূর্তে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তা পুরো দেশকে আশা ও শক্তি জুগিয়েছে-বলেন মোদি। তিনি বলেন,১২৫ কোটি ভারতবাসীর জীবন সুরক্ষিত করতে গিয়ে ভারত মাতাকে তার বহু বীর পুত্ৰকে খোয়াতে হয়েছে। দেশের প্ৰতিটি মানুষ যাতে নিশিন্তে ঘুমাতে পারেন তার জন্য আমাদের বীর সৈনিকরা দিন রাত অতন্দ্ৰ প্ৰহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছেন। পুলওয়ামার এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর সারা দেশের মানুষে ক্ষোভ ও উত্তেজনায় ফুঁসে ওঠেন। শহিদ ও তাঁদের পরিবার পরিজনের প্ৰতি দেশের মানুষের মধ্যে আত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। মানবতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটা। দেশ মাতৃর জন্য যে সব বীর জওয়ান শহিদ হয়েছেন আমি তাদের জন্য গর্বিত-বলেন প্ৰধানমন্ত্ৰী।