সংবাদ শিরোনাম

সন্ত্ৰাসের মোকাবিলায় পড়শি রাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে অসম সরকার

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ অসমে সাম্প্ৰতিককালে হিংসাশ্ৰয়ী ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দিশপুর ও নয়াদিল্লি খুবই উদ্বিগ্ন। সন্ত্ৰাসী কার্যকলাপ ও হিংসা দমনে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি এবং পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানোর মতো বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নিষিদ্ধ সংগঠন আলফা(আই)এ কিছু যুবকের যোগদানের খবর রাজ্যর নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা সুরক্ষা বাহিনীর কাছে নতুন করে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিবসাগরে বৃহস্পতিবার দুই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড,উজান অসম ও কার্বি আংলং জেলায় তিনজনকে অপহরণ এবং সম্প্ৰতি তিনসুকিয়ার ধলায় একই পরিবারের তিনজন সহ পাঁচ ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি ঘটনা রাজ্যের গৃহ বিভাগ এবং কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক উভয়কেই ভাবিয়ে তুলেছে। এছাড়াও গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রাজ্যে প্ৰধানত উজান অসমে কিছু যুবকের আলফা(আই)যোগদানের খবর সরকারের উৎকণ্ঠা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যেই ঘটে চলেছে এসব হিংসাত্মক ঘটনা। উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে আগামি ৫ ও ৯ ডিসেম্বর।

রাজ্যে গৃহ বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা ও পুলিশ শুক্ৰবার এক বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে। উজানে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর পরই জঙ্গিরা খুব সহজেই নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্ৰদেশে পালিয়ে যাচ্ছে বলে বৈঠকে অভিমত প্ৰকাশ করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা মনে করেন,নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্ৰদেশ থেকে সীমান্ত টপকে মায়ানমারে যাওয়ার পর্যাপ্ত সুবিধা রয়েছে জঙ্গিদের সামনে। তবে অসম পুলিশ ইতিমধ্যেই নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্ৰদেশ পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা রেখে চলেছে। শুক্ৰবারের এই বৈঠকে প্ৰধানত রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে এবং কথা হয়েছে গোয়েন্দা বিভাগকে কি করে আরও সক্ৰিয় করে তোলা যায়। পড়শি রাজ্যগুলির সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে সন্ত্ৰাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালানো নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে।

বৈঠক শেষে রাজ্য গৃহ বিভাগের প্ৰধান সচিব এলএস চাংসন দ্য সেন্টিনেলকে বলেন,আমরা রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছি। সমাজে শান্তি,জনগণের জীবন ও সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখতে ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে। ‘জঙ্গিরা নাশকতা চালিয়ে পড়শি রাজ্য ও অরুণাচলে কেটে পড়ছে’।