গুয়াহাটিঃ রাজ্যে সন্ত্ৰাসী নেটওয়র্ক ছড়াতে হিজবুল মুজাহিদিনের আরও কিছু ক্যাডারের রাজ্যে ঢোকার সম্ভাবনা সম্পর্কে কোনও শুংসূত্ৰ পাওয়া যায় কিনা তার জন্য পুলিশ মধ্য অসমের হোজাই জেলার বিভিন্ন হোটেল ও লজগুলিতে তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছে। সূত্ৰটি দ্য সেন্টিনেলকে বলেছে,আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের কিছু সিনিয়র ক্যাডার কয়েক মাস অসমে ঢোকার এক রিপোর্টের পরিপ্ৰেক্ষিতেই এই পুলিশি তৎপরতা। হিজবুলের মোক্ষম উদ্দেশ্য হচ্ছে,এই অঞ্চলের যুবকদের বুঝিয়ে শুনিয়ে জঙ্গি সংগঠনে টানা যাতে রাজ্যে হিজবুলের ঘাঁটি গড়ে তোলা যায়।
‘আমাদের কাছে রিপোর্ট রয়েছে,সম্ভবত উত্তর প্ৰদেশ থেকে চার-পাঁচজনের একটি যুবক দল গত আগস্টে হোজাই ও লামডিঙের মতো স্থানগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্ৰহ করতে রাজ্য সফরে এসেছিল। হিজবুলের কাজকর্ম সম্প্ৰসারণে কোন স্থান উপযুক্ত হবে সেটা স্থির করাই সম্ভবত এদের সফরের উদ্দেশ্য ছিল’-বলেছে সূত্ৰটি। দুটো বিদেশি রাষ্ট্ৰ বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সঙ্গে ঘেঁষে রয়েছে অসম। ওই দুটো দেশকে গোপন কার্যকলাপ চালানোর উর্বর ভূমি হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে বলে সূত্ৰটি উল্লেখ করেছে।
অসম পুলিশের মতে,১৯৮৩ সালে নেলির গণহত্যা কাণ্ডের পরপরই রাজ্যে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী ডানা মেলতে শুরু করে। গত বেশ কবছর হরকত-উল-মুজাহিদিন(এধরনের প্ৰথম সংগঠন অসমে কাজ করতে শুরু করে)হুজি এবং বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন অসমের যুবকদের ওই সংগঠনগুলিতে টানার জন্য কাজ শুরু করেছিল। সূত্ৰটি বলেছে,২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের অব্যবহিত পরই অসম পুলিশ বাংলাদেশের ৫৭ জন জামাত-উল-মুজাহিদিনের জঙ্গিকে গ্ৰেপ্তার করেছিল। তবে এই জঙ্গি সংগঠনকে রাজ্য থেকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়। কিন্তু এখন হিজবুল মুজাহিদিন অসমে ঢোকার পথ খুঁজছে। হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠী রাজ্যে তাদের কাজকর্ম কতটা ছড়িয়েছে তার তদন্তে অসম পুলিশ ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে। ওদিকে হোজাইয়ের শঙ্করনগর আদালত ধৃত শাহনওয়াজ আলমকে(৩৯)আরও সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। হিজবুলের সঙ্গে সংযোগ রাখার অভিযোগে ধৃত সাত জনকে জেরা চালিয়ে যাচ্ছেন গোরেন্দা কর্তারা।