সংবাদ শিরোনাম

১১০টি অবৈধ কাঠ চেরাই কল গুড়িয়ে দেওয়া হল রাজ্যে

Sentinel Digital Desk

গুয়াহাটিঃ অসমের বিভিন্ন বনাঞ্চলে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যাপক সংখ্যক কাঠ চেরাই কল সাম্প্ৰতিককালে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ কাঠ চেরাই কল চক্ৰের সঙ্গে একাংশ বনকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগও উঠেছে। রাজ্যের বন ও পরিবেশ দপ্তরের মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্যের উদ্যোগে গত তিন মাসে রাজ্যের বিভিন্ন ফরেস্ট ডিভিশনে ১১০টির মতো অবৈধ কাঠ চেরাই কল গুড়িয়ে দেওয়া হয়। গুয়াহাটির কাছে উত্তর ও দক্ষিণ কামরূপ বন ডিভিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৩টি অবৈধ কাঠ চেরাই কল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এরপর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নগাঁও বন ডিভিশন। নগাঁও ডিভিশনে ১৪টি অবৈধ কাঠ চেরাই কল গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বরাক উপত্যকার তিন জেলায় ভাঙা হয়েছে ১৫টি অবৈধ কাঠ চেরাই কল। যোরহাট জেলায় ভাঙা হয়েছে এধরনের ৯টি কল। গত তিনমাসে অবৈধভাবে পাচার করার সময় ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের কাঠ বাজেয়াপ্ত করা গেছে। কাঠ ছাড়াও বালি ও পাথরের সিন্ডিকেট রাজ্যে অবৈধ ব্যবসা ক্ৰমেই জোরদার করে তুলছে। কংগ্ৰেস আমলে অবৈধ কাঠ চেরাই কলের বিরুদ্ধে এধরনের বড় অভিযান চালাতে দেখা যায়নি।

বন বিভাগের একজন বরিষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,এই অবৈধ ব্যবসায় একাংশ বন আধিকারিকের জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আজকাল এই কাঠ চেরাই কলগুলি স্থানান্তর যোগ্য হয়ে উঠেছে। অবৈধ ব্যবসায়ীরা হালকা ও ছোট মেশিন চেরাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে,যাতে প্ৰয়োজনে সেগুলি অন্যত্ৰ স্থানান্তর করা যায়। বনমন্ত্ৰী শুক্লবৈদ্য সেন্টিনেলকে বলেন,বন সংক্ৰান্ত অপরাধ রুখতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। ‘বরাকের জেলাগুলিতে বালি ও পাথর বহনে আমি ই-চালানোর ব্যবস্থা করেছি। এখন থেকে ঠিকাদারদের বনবিভাগকে রয়্যালটি দিতে হবে,সরাসরি অ্যাকাউণ্টে টাকা জমা দিয়ে’।