গুয়াহাটিঃ অসমে সোমবার প্ৰকাশিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)খসড়া এখন সংসদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যদের কাছে বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অসমে এনআরসি প্ৰকাশ ইস্যু নিয়ে আলোচনাকালে বিরোধীরা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের রক্ষণাবেক্ষণ দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করায় মঙ্গলবার রাজ্যসভায় হুলুস্থূল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হট্টগোলোর জন্য সভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু উচ্চসদন মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন। বেশকটি রাজনৈতিক দল সদনের বাইরে অভিযোগ করে বিজেপি ভারতীয় নাগরিকদের নিজের দেশেই শরণার্থী করার চেষ্টা করছে।
শাহ প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী রাজীব গান্ধী ও অসম চুক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করায় কংগ্ৰেস মুখপাত্ৰ আনন্দ শর্মা তাঁর সমালোচনা করেন। ’৮৫ সালে রাজীব গান্ধী অসম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এনআরসি হচ্ছে অসম চুক্তির আত্মা। এনআরসি বাংলাদেশি অনুপ্ৰবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে। আপনারা এটা রূপায়ণ করার সাহস দেখাতে পরেননি। কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি’-বলেছিলেন শাহ। বিরোধীরা শাহর ওই মন্তব্যে বেদম চটে যান। যার দরুন শাহ তাঁর বক্তব্য শেষ করতে পারেননি।
আজ রাজ্যসভা বসলে চেয়ারম্যান নাইডু বলেন,রাজ্যসভায় মঙ্গলবারের ঘটনায় তিনি বীতশ্ৰদ্ধ। তাই বুধবার অনুরূপ পরিস্থিতি দেখতে চান না। সদস্যদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন,সদন মুলতুবি করে দেওয়ার পুরো অধিকার রয়েছে চেয়ারম্যানের। কিন্তু কংগ্ৰেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা এনআরসি সম্পর্কে শাহর বিবৃতির বিরোধিতা করে এক যুদ্ধংদেহী পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেখা যায়। এনআরসির বিরোধিতার জন্য শাহ কংগ্ৰেসের সমালোচনা করেছিলেন। বিরোধীরা এনআরসি প্ৰকাশ নিয়ে কেন্দ্ৰ ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছে।