
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্ৰক আজ মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আদ্য প্ৰসাদ পান্ডেকে সাসপেন্ড করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে চলা তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিজিটরের ক্ষমতা বলে রাষ্ট্ৰপতি এপি পান্ডেকে সাসপেন্ড করেছেন। এই ইস্যুটি নিয়ে বিজেপি ও রাজ্য সরকার গত কিছুদিন ধরে প্ৰচণ্ড চাপের মুখে ছিল। মোদি সরকারই পান্ডেকে ওই পদে নিয়োগ করেছিল।
পান্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্ৰশাসনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰরা সাম্প্ৰতিককালে আন্দোলনে নেমেছিল। সরকারি সূত্ৰের মতে,বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্ৰতি লক্ষ্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্ৰক পান্ডের বিরুদ্ধে উত্থাপিত আর্থিক নয়ছয় ও প্ৰশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগটির তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে এবং ওই কমিটি ৬ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের কাজ শুরু করেছে।
তদন্ত কমিটি সব স্টেকহোল্ডারদের ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত প্ৰাসংগিক তথ্যপাতি দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিল। তবে এখন এই সময়সীমা বাড়িয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্ৰধানের দায়িত্বে রয়েছেন বিচারপতি(অবসরপ্ৰাপ্ত)টি নন্দকুমার এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক এম কে চৌধুরী।