আকস্মিকভাবে সঙ্গীতজ্ঞ বিশাল দাদলানির একটি উষ্ণ ও প্ৰশংসনীয় টুইট আমাকে অবাক করেছিল। দাদলানি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের(ক্যা)বিরুদ্ধে অসমিয়া সমাজের দৃঢ় ও সম্মিলিত অবস্থান সম্পর্কে লিখতে পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু টুইটটি এই সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু দাদালানি ক্যা নিয়ে অসমিয়া সমাজের বিক্ষোভকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিক্ষোভের সঙ্গে সমান দৃষ্টিতে দেখায় অসমিয়া বুদ্ধিজীবী মহলে তা বিভ্ৰান্তির সৃষ্টি করেছে। সিএএ-র সঙ্গে রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জিকে(এনআরসি)ক্লাব করে এর বিরুদ্ধেই লড়াই হিসেবে অভিহিত করতে চেয়েছেন তিনি। স্পষ্টতই,বলিউডের এই বিশেষ ব্যক্তি সত্য সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে জ্বলন্ত একটা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আওয়াজ তুলতে চেয়েছেন। অসমিয়া সমাজ এনআরসি নিয়ে তেমন কোনও হতাশা প্ৰকাশ করেননি। অথচ দাদলানি এনআরসিকে ব্যর্থ বলে অভিহিত করতে চেয়েছেন। সিএএ নিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে অসমের মানুষের বিক্ষোভের যে ফারাক রয়েছে দাদালানি সেটা যথাযথভাবে অনুধাবন করতে পারেননি।
অন্যদিকে,হিংসাদীর্ণ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে(জেএনইউ)অভিনেত্ৰী দীপিকা পাড়ুকোণের কৌশলগত ও সময়োচিত সফর যা বলিউড তারকার বিরুদ্ধে দুষ্টু ট্ৰলগুলি ছড়িয়ে দিয়েছে। জেএনইউ ভ্ৰাতৃত্বের সাথে একাত্মতা প্ৰকাশের জন্যই একটি শব্দও খরচ না করে ছাত্ৰদের মধ্যে দাঁড়িয়েছিলেন দীপিকা সেটা বিশ্বাস করারও কোনও স্থল নেই। তাছাড়া জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও যাননি দীপিকা। এতে এটাই প্ৰমাণিত হয় যে দীপিকা তার আসন্ন ছবির জন্য প্ৰচার সন্ধানী একটা মন নিয়েই জেএনইউতে এসেছিলেন।
টুইটার ও ইনস্টাগ্ৰামে বলিউড তারকাদের বিপুল সংখ্যক অনুরাগীর সঙ্গে তাদের একটি মাত্ৰ শব্দ সারা দেশে বিভ্ৰান্তি ছড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। দাদলানি ও দীপিকার এই কাজগুলি ব্যতিক্ৰমী কিছু নয়। তাই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে বিভ্ৰান্তি থেকেই যায়।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ সাভারকারের ছবি থাকা নোটবুক স্কুল ছাত্ৰদের মধ্যে বিতরণের জন্য মধ্যপ্ৰদেশে আধ্যক্ষ সাসপেন্ড
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Watch Bhogali Bihu preparation from Guwahati ahead ‘Uruka’ (Night before Magh Bihu)