গুয়াহাটিঃ করোনা ভাইরাসের প্ৰার্দুভাবে চিনে মৃত্যু ও সংক্ৰমণের সংখ্যা ক্ৰমেই বেড়ে চলেছে। হুবাই প্ৰদেশে নতুন করে ৭০ জনের মৃত্যু হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে ৬ ফেব্ৰুয়ারি। এই প্ৰদেশটির রাজধানী শহরের নাম উহান। এই নিয়ে করোনা ভাইরাসের প্ৰাদুর্ভাবে চিনে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬০ জনে দাঁড়াল। হুবাইয়ে হেলথ কমিশনের দৈনিক আপডেট রিপোর্টে বলা হয়েছে,দেশ জুড়ে আরও ৩৬৯৪ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণ ঘটেছে। এই নিয়ে চিনে করোনা ভাইরাস সংক্ৰামিত হওয়া লোকের সংখ্যা ২৮,০১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
উহানের সি ফুড মার্কেট থেকে এই ভাইরাস সংক্ৰমণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। চিনের সরকারি সূত্ৰে বলা হয়েছে,হাসপাতালগুলোতে শয্যার অভাব দেখা দিয়েছে। অতিরিক্ত ১০০০ রোগীকে পাবলিক বিল্ডিঙে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন ‘রোগীর চিকিৎসায় সরঞ্জাম ও সামগ্ৰীর’ অপ্ৰতুলতা দেখা দিয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্কুল এবং হস্টেলকে চিকিৎসা কেন্দ্ৰে রূপান্তরিত করার কথা ভাবছেন তারা। চিনের প্ৰতিটি শহরেই কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন স্থানে জনগণকে ঘর থেকে বের হওয়া সীমিত করা হয়েছে। ২০টির বেশি দেশে এই ভাইরাস সংক্ৰমণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে উৎকন্ঠাও ক্ৰমেই বেড়ে চলেছে।
এর আগে চিন ঘোষণা করেছিল,রোগীর চিকিৎসার জন্য হুওসেনসানে ১ হাজার শয্যার এবং লেইসেনশানে ১৬০০ শয্যার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। তবে হুওসেনসানে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং সেটিতে এখন রোগী ভর্তি করানো যাবে। লেইসেনসানের চিকিৎসা কেন্দ্ৰটিও শিগগিরই সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। হংকং,ফিলিপিন্সেও এই ভাইরাস সংক্ৰমিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই একজন মারা যাওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
করোনা ভাইরাসে আক্ৰান্ত রোগীর লক্ষণগুলি হচ্ছে শ্বাসকষ্ট,জ্বর,কফ,ইত্যাদি। এই সংক্ৰমণ থেকে নিউমোনিয়া,মারাত্মক শ্বাসকষ্ট এবং এমন কি কিডনি বিকল হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জীব-জন্তু ও মানুষের শরীর থেকে এই রোগ সংক্ৰমণ হয়ে থাকে। সংক্ৰমণের হাত থেকে বাঁচতে যে সমস্ত সাবধানতা ও সতর্কতা নিতে হবে সেগুলি হচ্ছে নিয়মিত হাত ধোয়া,মাস্ক পরে নাক,মুখ ঢেকে রাখা। শ্বাসকষ্ট থাকা এবং কফ আক্ৰান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি।
অন্যান্য খবরের জন্য পড়ুনঃ নাকের ভিতর দাঁত! অবিশ্বাস্য হলেই সত্যি
অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Woman set on fire by in-laws in Katigara under Cachar, Rescued after one month