কলকাতায় একটি নবজাতকের পিতৃত্বের দাবিতে তিন ব্যক্তির তুলকালাম

কলকাতায় একটি নবজাতকের পিতৃত্বের দাবিতে তিন ব্যক্তির তুলকালাম
Published on

কলকাতাঃ একটি নবজাতক! কিন্তু নবজাতকের পিতৃত্ব দাবি করে এগিয়ে এসেছেন তিন ব্যক্তি। এই ঘটনায় কলকাতায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। জনৈক মহিলা দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে এক কন্যা শিশুর জন্ম দেন। শিশুটির জন্মের পরই এক এক করে তিন ব্যক্তি হাসপাতালে এসে নবজাতকের পিতৃত্ব দাবি করেন। এনিয়ে বাঁধে এক তুলকালাম কাণ্ড।

তিন ব্যক্তির প্ৰত্যেকেই প্ৰসূতির স্বামী বলে দাবি করে। মহিলার স্বামীই যে শিশুর প্ৰকৃত পিতা হবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। নবজাতকের পিতৃত্ব দাবি করে তিন ব্যক্তিই হাসপাতালে হৈ চৈ জুড়ে দেন। তাদের আচরণে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এদের দাবিতে হাসপাতালের পরিস্থিতি সরগরম হয়ে ওঠে। এই ইস্যুটি সমাধানের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পড়েন পুলিশ ডাকতে। পুলিশ এসে এই জটিল ইস্যুটির সমাধানের চেষ্টা করে মহিলাটির কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সেই প্ৰসঙ্গে তদন্তে গিয়ে।

ঘটনাটি গত শনিবারের। ওই দিন ২১ বছর বয়সী এক অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা শিশুর জন্ম দিতে আইআরআইএস হাসপাতালে আসেন। মহিলার সঙ্গে হাসপাতালে আসেন তাঁর মা ও একজন ব্যক্তি। ওই দিন সন্ধে ৬.৩০ নাগাদ মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যে ব্যক্তিটি সঙ্গে এসেছিলেন তিনিই মহিলার স্বামী হিসেবে হাসপাতালের ফর্ম পূরণ করেন। হাসপাতালের বিলও তিনি আগাম চুকিয়ে দেন। ওই সময় মহিলাকে ডেলিভারির জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্ৰথমটায় সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছিল। শিশুটির জন্মের কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় ব্যক্তির হাসপাতালে উদয় হওয়ায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ব্যক্তিটি এসে মহিলাকে তার স্ত্ৰী ও শিশুটির পিতা বলে দাবি করে। দ্বিতীয় ব্যক্তিটি মহিলার সঙ্গে দেখাও করতে চায়। কিন্তু ওই সময় মহিলাটি অপারেশন থিয়েটারে অচেতন অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতালের কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যক্তিটিকে মহিলার কাছে নেওয়ার চেষ্টা করলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্ৰথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তি নিজেদের মহিলার স্বামী দাবি করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন হাসপাতাল কর্মীরা পুলিশকে ডেকে আনে। পুলিশ দুজনকেই তাদের বিয়ের প্ৰমাণপত্ৰ দেখাতে বলে। রবিবার দ্বিতীয় ব্যক্তিটি বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্ৰমাণপত্ৰ সংগ্ৰহ করে হাসপাতালে আসে। এর পর প্ৰথম ব্যক্তিটি স্বীকার করে সে মহিলাটির নিছকই বন্ধু। কিন্তু ঘটনার সমাপ্তি তখনও হয়নি। মহিলাটির মা দাবি করেন দ্বিতীয় ব্যক্তিটি তাঁর জামাতা নয়। এরই মধ্যে হাসপাতালে উদয় হয় তৃতীয় ব্যক্তির। সে এসে বলে মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। তবে নবজাতকটির পিতা সেই। এই রুদ্ধশ্বাস নাটকের যবনিকা পড়ে প্ৰসূতি এই ইস্যু নিয়ে তাঁর বিবৃতি দেওয়ার পরে। মহিলাটি নিশ্চিত করে বলেন দ্বিতীয় ব্যক্তিই তাঁর প্ৰকৃত স্বামী এবং নবজাতকের পিতা।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com