সূর্যগ্ৰহণের মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হলো কলকাতা

সূর্যগ্ৰহণের মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হলো কলকাতা
Published on

কলকাতাঃ আকাশে মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছিল। তাই কলকাতায় আজকের আংশিক সূর্যগ্ৰহণ দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা ধন্দে ছিলেন শহরবাসী। মাঝে মাঝে মেঘের আস্তরণে সূর্য ঢেকে গেলেও অবশেষে শহরবাসী সূর্যের বুকে এই মহা জাগতিক গ্ৰহণের দৃশ্য স্পষ্টভাবেই দেখতে পেয়েছেন। কলকাতায় এদিন সূর্যগ্ৰহণ শুরু হয় সকাল ৮টা ২৭ মিনিটে। মেঘের উঁকি ঝুকিতে প্ৰথমটায় গ্ৰহণ দেখা সম্ভব হয়নি। তবে ৮টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এখানে সূর্যগ্ৰহণের দৃশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভারতের দক্ষিণী রাজ্যগুলোতে দেখা গেছে গ্ৰহণের দৃশ্য। পশ্চিমবঙ্গের শৈলশহর দার্জিলিং এবং কোচবিহারেও গ্ৰহণ দেখা গেছে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায়ও সূর্যগ্ৰহণের এই মহাজাগতিক দৃশ্য পরখ করেছেন অনেকে।

সংযুক্ত আরব আমির শাহির আবুধাবি ও দুবাইয়ে গ্ৰহণের দৃশ্য পরিষ্কার দেখা গিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ বলয় গ্ৰাস সূর্যগ্ৰহণ দেখা গেছে আবু ধাবিতে। আহমেদাবাদ ও মুম্বইয়েও দৃশ্য হয়েছে গ্ৰহণ। গোটা ভারতেই দেখা গেছে সূর্যগ্ৰহণের দৃশ্য। এই গ্ৰহণের স্থায়িত্ব ৩ ঘন্টা ৮ মিনিট। খালি চোখে এই গ্ৰহণ দেখলে দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তাই খালি চোখে গ্ৰহণ দেখতে নিষেধ করছে নাসা। এমনকি পেরিস্কোপ ও টেলিস্কোপ দিয়ে সূর্যের দিকে তাকাতে বারণ করা হয়েছে। এর কারণ হলো গ্ৰহণের সময় সূর্য রশ্মির অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,বিশেষ ধরনের গ্লাস বা ফিল্টার দিয়ে গ্ৰহণ দেখা যেতে পারে।

পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদের অবস্থানের জন্যই এই গ্ৰহণ। এই গ্ৰহণে দেখা গেছে সূর্যকে ঘিরে একটা আগুনের রিং। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ভাষায় এটাকে বলা হয় রিং অফ ফায়ার।

অধিক খবরের জন্য ভিডিও দেখুন: Christmas celebrated in Kokrajhar

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com