চলন্ত ট্ৰেনে দিল্লি পুলিশের হাতে ধর্ষিতা তিহার জেলের মহিলা কয়েদি

চলন্ত ট্ৰেনে দিল্লি পুলিশের হাতে ধর্ষিতা তিহার জেলের মহিলা কয়েদি
Published on

নয়াদিল্লিঃ দিল্লি সশস্ত্ৰ পুলিশের একজন কনস্টেবলের হাতে তিহার জেলের এক মহিলা কয়েদি সম্প্ৰতি ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনা মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ন্যক্কারজনক ঘটনার জ্বলন্ত ইস্যুটিকে আবারও তাতিতে দিল অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল। দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে এজাতীয় অপরাধের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক হারে বেড়ে চলেছে। রক্ষকই ভক্ষকের রূপ নিচ্ছে। মানুষের নিরাপত্তা ও রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা পুলিশের হাতেও মহিলারা নিরাপদ বোধ করতে পারছেন না।

নন্দন কানন এক্সপ্ৰেসের একটি স্লিপার কোচে একজন মহিলা কয়েদির ওপর এই লজ্জাজনক ঘটনাটি ঘটে। মুর্শিদাবাদ কোর্টে শুনানিতে উপস্থিত থাকার পর ওই মহিলা কয়েদি অভিযোগ করেছেন,চলন্ত ট্ৰেনে দিল্লি পুলিশের একজন কনস্টেবল তাকে ধর্ষণ করেছে। উল্লেখ্য,এই সফরকালে কনস্টেবলটি তার নিরাপত্তা ও এসকর্টের দায়িত্বে থাকা একজন। মহিলাটি ধর্ষণকাণ্ড সম্পর্কে নতুন দিল্লির রেলওয়ে পুলিশ থানায় ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে একটি অভি্যোগ দায়ের করেছেন। ৪২ বছর বয়সী মহিলা কয়েদি তিহার জেলের ডাক্তারকে বলেছেন,ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ আগস্ট। ডাক্তারকে ঘটনার সবিশেষ জানানোর পর মহিলাটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কয়েদিদের আদালতে শুনানিতে নিয়ে যাওয়া থেকে তাদের এসকর্ট দেওয়ার দায়িত্ব সাধারণত দিল্লি সশস্ত্ৰ পুলিশকেই দেওয়া হয়ে থাকে। এই কনস্টেবল এবং আরও কয়েকজন মহিলাটিকে এসকর্ট দিয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসছিল।

মহিলা কয়েদির জন্য একজন পুলিশ ও দুজন মহিলা কনস্টেবল এসকর্টের দায়িত্বে ছিলেন। মহিলা কয়েদিটিকে পশ্চিমবঙ্গে নেওয়া হয়েছিল আদালতে শুনানির জন্য। মহিলা কয়েদির ভাষ্য অনু্যায়ী,চলন্ত ট্ৰেনে মহিলা পুলিশই টয়লেট পর্যন্ত তাকে এসকর্ট দিতে নিয়ে যান। ওই সময় এসকর্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলটি ট্ৰেনের টয়লেটের কাছ থেকে মহিলা কনস্টেবলকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপরই সু্যোগ বুঝে কনস্টেবল বলপূর্বক টয়লেটে ঢুকে মহিলা কয়েদিকে ধর্ষণ করে। মহিলা কয়েদির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৫০৬ ধারায় অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com