Begin typing your search above and press return to search.

অগপ নেতা বিরাজ শর্মার জীবনাবসান,রাজ্য মর্যাদায় সম্পন্ন অন্ত্যেষ্টি

অগপ নেতা বিরাজ শর্মার জীবনাবসান,রাজ্য মর্যাদায় সম্পন্ন অন্ত্যেষ্টি

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  16 Jan 2019 12:11 PM GMT

গুয়াহাটিঃ অসম গণ পরিষদের(অগপ)দলের অন্যতম নেতা তথা প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী বিরাজ কুমার শর্মা আর নেই। মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ গুয়াহাটির বেসরকারি নেমকেয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। যকৃতের রোগে আক্ৰান্ত হয়ে গত চারদিন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ডাক্তারদের অশেষ চেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। অসমে বিদেশি বিতাড়ন আন্দোলনে অগ্ৰণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৬ বছর অসম আন্দোলনের পর ১৯৮৫ সালের ১৫ আগস্ট দিল্লিতে তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে ঐতিহাসিক অসম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন বিরাজ শর্মা। ওই সময় শর্মা অসম গণ সংগ্ৰাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

অসম চুক্তিতে তাঁর সঙ্গে স্বাক্ষরকারী অন্য দুজন হলেন প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত ও প্ৰয়াত ভৃগু কুমার ফুকন। ১৯৯৮ সালে নিষিদ্ধ সংগঠন আলফার আক্ৰমণে গুরুতর আহত হলেও প্ৰাণে বেঁচে গিয়েছিলেন শর্মা। ওই আক্ৰমণে শর্মার একজন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল। প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তের নেতৃত্বাধীন অগপ মন্ত্ৰিসভায় দুবার মন্ত্ৰী হয়েছিলেন শর্মা। তাঁর মৃত্যুতে রাজ্যে বিশেষ করে অসম গণ পরিষদ শিবিরে শোকের ছায়া নেমে আসে।

প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত গভীর দুঃখ প্ৰকাশ করে বলেন,রাজ্যে যখন অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেসময় শর্মার মৃত্যু অগপর কাছে একটা শক্তিশালী স্তম্ভ খসে পড়ার মতো ঘটনা। মোদ্দা কথায় শর্মা ছিলেন আঞ্চলিকতাবাদের ধ্বজাধারী। তাঁর নশ্বর দেহ নিয়ে আজ চান্দমারীর বিহুতলি থেকে শোক মিছিল বের করা হয়। তার পর নশ্বরদেহ আমবারিতে অগপর কার্যালয়ে আনা হয় এবং ওখান থেকে নেওয়া হয় লতাশিল মাঠে। ওখানে অসম আন্দোলনে সক্ৰিয়ভাবে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা তাঁকে অন্তিম শ্ৰদ্ধা জানান। এরপর শহিদ ভবন ও কুমার ভাস্কর নাট্যমন্দির হয়ে শর্মার নশ্বর দেহ নেওয়া হয় নবগ্ৰহ শ্মশানে এবং ওখানে রাজ্য মর্যাদায় সম্পন্ন করা হয় শেষ কৃত্য।

Next Story