
দিল্লির ১৯ বছর বয়সী একটি কিশোরের ভিডিও গেমের প্ৰতি আসক্তি এমন চরম পর্যায়ে উঠেছিল যে সে শেষপর্যন্ত তার অভিভাবক ও ১৬ বছরের একটি বোনকে খুন করে বসে। দক্ষিণ দিল্লির কিষানগড় গ্ৰামে বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে। বাবা চেয়েছিলেন ছেলেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার করতে। কিন্তু পিতার স্বপ্ন অগ্ৰাহ্য করে সুরজ নামের ছেলেটি ভিডিও গেমে ডুবে যায়। ঘটনার একদিন পর দিল্লি কোর্ট কিশোরটিকে ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠিয়েছে।
অনলাইন গেমে আসক্ত ছেলেটি মেরাউলিতে একটি ঘর ভাড়ায় নিয়েছিল। ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে ওই ঘরেই বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ভিডিও গেমের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকতো,কাটাতো বেশিরভাগ সময়-বলেছেন একজন বরিষ্ঠ পুলিশ কর্তা।
‘সুরজ ওরফে সারনাম ভার্মা নামের ছেলেটি তার অভিভাবক ও বোনকে খুন করার পরও তাকে এতুটকু অনুতপ্ত হতে দেখা যায়নি। ছেলেটি লাগাতার বলে গেছে অনুগ্ৰহ করে আমাকে আইনের হাত থেকে বাঁচান’-জানান একজন পুলিশ আধিকারিক। কিশোরটি অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমে নেশাসক্ত হয়ে পড়েছিল এবং তার প্ৰতিবেশীরা বলেছেন,পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ঘনঘন ঝগড়া করতো সে। স্বাধীনতা দিবসের দিন ছেলেটি ঘুড়ি ওড়াতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা তাতে বাধা দেন। এরপরই ছেলেটি পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে। পুলিশ আরও বলেছেন,‘কিশোরটি ভেবেছিল বোর্ডের পরীক্ষায় ফেল করায় তার বাবা তাকে তাদের নির্মীয়মাণ বাড়ির কাজ দেখাশোনা করতে বলেছেন। তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে ভেবে সে আরও বিগড়ে যায়’। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পেরেছে যে সুরজের একটা হোয়াটস অ্যাপ গ্ৰুপ ছিল। ওই গ্ৰুপে মেয়ে সহ ছিল দশজন বন্ধু-বান্ধবী।
অভিভাবক ও বোনকে হত্যার আগে সুরজ তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করে,পরিবারের ছবিগুলো দেখে অনেক রাত অবধি। পরে মাঝ রাতে ছোরা মেরে খুন করে অভিভাবকদের।