অন্তর্বর্তী বাজেট নতুন ভারত গড়ায় সহায়ক হবেঃ মোদি

নয়াদিল্লিঃ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি শুক্ৰবার সংসদে পেশ করা ২০১৯-২০ সালের অন্তর্বর্তী বাজেট সম্পর্কে বলেন,এই বাজেট গরিব,মধ্যবিত্ত,কৃষক,শ্ৰমিক ও ব্যবসায়ীদের হাত শক্ত করবে। তাছাড়া নতুন ভারত গঠনে দ্ৰুত অর্থনীতির বিকাশ ও পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা গড়ে তুলতেও সাহা্য্য করবে এই বাজেট। কেন্দ্ৰীয় অর্থমন্ত্ৰীর দায়িত্বপ্ৰাপ্ত পীযূষ গোয়েল শুক্ৰবার সংসদে বাজেট পেশ করার পর এসম্পর্কে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে মোদি বলেন,এই বাজেটের ফলে ১২ কোটি কৃষক,মধ্যবিত্ত শ্ৰেণির ৩ কোটি কর দাতা এবং অসংগঠিত ক্ষেত্ৰের প্ৰায় ৪০ কোটি শ্ৰমিক সরাসরি উপকৃত হবেন।
‘এই বাজেট গরিব এবং শ্ৰমিকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে,শ্ৰমের মর্যাদা বাড়াবে,স্বপ্ন পূরণ করবে মধ্যবর্তী শ্ৰেণির।পরিকাঠামোগত ব্যবস্থার দ্ৰুত উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনীতিতেও নতুন শক্তি জোগাবে’। প্ৰধানমন্ত্ৰী বাজেটকে ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর অংশ হিসেবেই অভিহিত করেছেন। বাজেট দেশবাসীর আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং নতুন ভারত গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে নতুন আশায় উদ্দীপ্ত করবে-বলেন মোদি।
তিনি বলেন,কৃষক,শ্ৰমিক থেকে শুরু করে বাজেটে সব শ্ৰেণির মানুষের কল্যাণের কথা ভাবা হয়েছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী এই বাজেটকে পুরোপুরি ভারসাম্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করে বলেন,প্ৰত্যেকের জীবনে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনাই আমাদের নীতি। মোদি বলেন,সমাজের বুক থেকে দারিদ্ৰ্য ঘোচাতে সরকার লাগাতার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্ৰে রেকর্ড পরিমাণ সাফল্যও এসেছে। তিনি বলেন,অসংগঠিত শ্ৰমিকদের স্বার্থে সরকার পেনশন যোজনা ঘোষণা করেছে। বর্তমান কেন্দ্ৰীয় সরকার যে বিকাশের রাজনীতিতে বিশ্বাসী এই বাজেট তারই প্ৰমাণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্ৰধানমন্ত্ৰী বলেন,আয়ুষ্মান ভারত যোজনার ফলে ৫০কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী জীবনজ্যোতি যোজনা এবং প্ৰধানমন্ত্ৰী সুরক্ষা বিমা যোজনার ২১কোটি গরিব মানুষ উপকৃত হয়েছেন,৯কোটি পরিবার উপকৃত হয়েছেন স্বচ্ছ ভারত মিশন কর্মসূচির ফলে। এছাড়া উজালা স্কিমের মাধ্যমে ১.৫কোটি পরিবার বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ পেয়েছেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী আবাস যোজনায় ১.৫ কোটি পরিবার স্থায়ী বাসস্থান লাভ করেছেন-উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন,আয়করের সর্বোচ্চ সীমা ৫ লক্ষ টাকা ছাড় দেওয়ে দাবি দীর্ঘদিন থেকে উঠে আসছিল এবং তাঁর সরকার অবশেষে তা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।