
গুয়াহাটিঃ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬-র বিরুদ্ধে সারা অসম যখন প্ৰতিবাদের আগুনে জ্বলছে সে সময়েই রাজ্যে পালিত হলো আদরের ভোগালি বিহু। ১৪ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার রাতে রাজ্যজুড়ে পালিত হয় ‘উরুকা’। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও বাজারে খদ্দেরের ভিড় উপচে পড়তে দেখা গেছে। গ্ৰাম গঞ্জ,শহরে বিভিন্ন সংগঠন ও জনগোষ্ঠী জোটবদ্ধ হয়ে আয়োজন করেন ভোজসভার। বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় বিহুগীত ও বিহু নৃত্যের আসর। সদিয়া থেকে ধুবড়ি পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বাঁশ,বেত,ন্যাড়া ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন আদলের ভেলাঘর সাজিয়ে তোলা হয়। প্ৰ্তিটি ভেলাঘর শিল্পীর শিল্প নৈপুণ্যের এক অপূর্ব নজির হিসেবে ফুটে উঠে।
অসমের জাতীয় পরম্পরা মেনে গ্ৰাম গঞ্জ,খেতের মাঠে সাজিয়ে তোলা হয় মেজি ঘর। ১৫ জানুয়ারি অর্থাৎ মঙ্গলবার সাত সকালে সবাই স্নান সেরে শুদ্ধবস্ত্ৰ পরিধান করে সেই মেজিঘরে আগুন দেন। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই পরম্পরা। এসময়ে ঘরে ঘরে রকমারি পিঠে পুলি তৈরি করার রেওয়াজ রয়েছে। তাই মহিলাদের মধ্যে পিঠেপুলি তৈরির একটা অঘোষিত প্ৰতিযোগিতা চলে মাঘ বিহুকে কেন্দ্ৰ করে। ঘরে ঘরে নতুন ধান ওঠার পর ভোগের উৎসব ভোগালির আনন্দে মাতোয়ারা হতে অসমের মানুষ কোনও খামতি রাখেন না। সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্ৰতিষ্ঠানে চুটি থাকায় অনেককেই উরুকার রাত থেকেই ভোগালির আনন্দে গা ভাসিয়ে দিতে দেখা গেছে।