অসমের ভূমিপুত্ৰদের সংখ্যালঘু হওয়া থেকে বাঁচাতে মণিপুরের মতো আইন চায় প্ৰব্ৰজন বিরোধী মঞ্চ

অসমের ভূমিপুত্ৰদের সংখ্যালঘু হওয়া থেকে বাঁচাতে মণিপুরের মতো আইন চায় প্ৰব্ৰজন বিরোধী মঞ্চ
Published on

গুয়াহাটিঃ প্ৰব্ৰজন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক উপমণ্যু হাজরিকা আজ এক বিবৃতিতে অসমে খিলঞ্জিয়াদের(ভূমিপুত্ৰ)সংখ্যালঘু হওয়া থেকে রক্ষা করতে রাজ্যে মণিপুরের মতো সংরক্ষণ আইন প্ৰবর্তন করার দাবি জানিয়েছেন। হাজরিকা বলেন,চলতি বছরের ২৩ জুলাই মণিপুর বিধানসভা তাদের রাজ্যে সংরক্ষণ আইনটি আনুমোদন করেছে। ওই আইনে ভূমি,সরকারি চাকরি,বিভিন্ন সু্যোগ সুবিধা,ব্যবসা-বাণিজ্যের লাইসেন্স ইত্যাদি ১৯৫১ সালের তালিকাভুক্ত ভারতীয় নাগরিক ও তাদের বংশোধরদের জন্য সংরক্ষিত করেছে।

কিন্তু অসমে এনআরসির খসড়া প্ৰকাশ হওয়ার পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে খিলঞ্জিয়া বা ভূমিপুত্ৰরা সংখ্যালঘু হওয়া থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না। তিনি অভিযোগ করেন রাজ্য সরকার বাংলাদেশিদের সুরক্ষা দিতে তৎপর। এর দুটো জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে প্ৰথমত,সরকার বিভিন্ন জেলায় গ্ৰাম প্ৰধান নিয়োগ করছে। এনআরসি-র সদ্য প্ৰকাশিত খসড়ায় দেখা গেছে ধুবড়ি জেলায় বহু সন্দেহভাজন বিদেশির নাম ঢুকেছে। এদিকে সরকার গ্ৰামপ্ৰধান নিয়োগে তোড়জোড় শুরু করেছে। এরফলে বিদেশিদের সরকারি চাকরি পাওয়ার পথ খুলে যাবে।

দ্বিতীয়ত,শিপাঝার কেন্দ্ৰের ফুহুরাতলি পিজিআর ভূমি সন্দেহভাজন বিদেশিরা কব্জা করে রাখার কথা সরকার শিকার করেছে। আইন মতে,পিজিআর জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করা নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকা ও ভোটের লোভে আমলা ও রাজনৈতিক নেতারা দখলদারদের রক্ষণাবেক্ষণ দিচ্ছে-অভিযোগ করেন হাজরিকা। তিনি বলেন,এটা স্পষ্ট যে অসমের ভূমি,সম্পদ,চাকরি,ব্যবসার লাইসেন্স ইত্যাদি ৫১ সাল থেকে রাজ্যে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও তাদের সন্তানসন্ততিদের জন্য সংরক্ষিত করা না হলে ভূমিপুত্ৰদেরই ভুগতে হবে।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com