Begin typing your search above and press return to search.

অসমের ভূমিপুত্ৰদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে দেবে না সরকারঃ সর্বানন্দ

অসমের ভূমিপুত্ৰদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে দেবে না সরকারঃ সর্বানন্দ

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  23 Jan 2019 11:33 AM GMT

গুয়াহাটিঃ মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন,অসম চুক্তির ৬নম্বর দফা যথাযথভাবে রূপায়ণ করে স্থানীয় খিলঞ্জিয়া মানুষের জমি,ভাষার সুরক্ষা এবং নিয়োগের সু্যোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার গুয়াহাটির ব্ৰহ্মপুত্ৰ রাজ্য অতিথিশালায় অসম সাহিত্যসভা এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীয় সাহিত্যসভার প্ৰতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্ৰতিশ্ৰুতি দেন মুখ্যমন্ত্ৰী। এই মত বিনিময়কালে নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্ৰাসঙ্গিক বিষয়েও রাজ্য সরকারের অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন তিনি। বলেন রাজ্যে জমি,ভাষা,স্থানীয় পুরসভা ও পুরনিগম,পঞ্চায়েত ও নিয়োগের সু্যোগ সুবিধার ক্ষেত্ৰে স্থানীয় মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করা হবে অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে।

তিনি বলেন,নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলটি আইনে পরিণত হলে অসমে বিদেশির জোয়ার নামবে বলে একাংশ দল-সংগঠন যে প্ৰচার চালাচ্ছে তা মোটেই সত্য নয়। এটা নিছকই অপপ্ৰচার ও গুজব বলে উল্লেখ করেন সোনয়াল। নাগরিকত্ব বিলের সঠিক ব্যাখ্যা এবং অসম চুক্তির ৬নং দফা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলার জন্য অসম সাহিত্য সভা ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীয় সাহিত্য সভার প্ৰতিনিধিদের অগ্ৰণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,অসমিয়া ভাষা ও সংস্কৃতিকে কখনোই হুমকির মুখে পড়তে দেওয়া হবে না। সরকার ভূমিপুত্ৰদের স্বার্থে রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ।

নাগরিকত্ব বিলটিকে জাতীয় নীতি হিসেবে উল্লেখ করে সোনোয়াল বলেন,পড়শি দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ছয়টি ধর্মাবলম্নী মানুষ যদি ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের আনুমতি চায় তাহলে সারা দেশ তাদের দায়িত্ব ভাগ করে নেবে। একাংশ দল,সংগঠন বিলটি অসম বিরোধী বলে অপপ্ৰচার চালানোয় রাজ্যের বিকাশ অনেক ক্ষেত্ৰেই বাধাগ্ৰস্ত হচ্ছে। সনোয়াল আবারও বলেন,ভূমিপুত্ৰদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে তাঁর সরকার প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ। আর সেইজন্যই রাজ্যে ভূমিহীন খিলঞ্জিয়া মানুষের জন্য সরকার জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। জমি ও সংস্কৃতির ওপর স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে তারজন্য সমস্ত ধরনের প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কেন্দ্ৰীয় সরকার বর্তমানে রাজ্যের যে ছটি জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার প্ৰস্তাব রেখেছে তাতে বর্তমানে যারা উপজাতির মর্যাদা পাচ্ছে তাদের স্বার্থ কোনওভাবেই ক্ষুণ্ণ হবে না। রাজ্যের এই সব উপজাতিরা বর্তমানে সংরক্ষণের যে সু্যোগ সুবিধা পাচ্ছেন তা বাধাগ্ৰস্ত হবে না কোনওভাবেই-বলেন মুখ্যমন্ত্ৰী।

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্ৰীর প্ৰচার উপদেষ্টা ঋষিকেশ গোস্বামী,মুখ্যসচিব অলোক কুমার,মুখ্যমন্ত্ৰীর প্ৰধান সচিব সঞ্জয় লোহিয়া,অসম সাহিত্যসভার সভাপতি ড.পরমানন্দ রাজবংশী,বোড়ো সাহিত্যসভার সভাপতি কমলাকান্ত মুসাহারি ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীয় সাহিত্যসভার প্ৰতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Next Story