অসমের স্থানীয় মুসলিমদের সাংবিধানিক সুরক্ষা কবচের ব্যবস্থা করার দাবি

গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিক পঞ্জির(এনআরসি)খসড়ায় ব্যাপক সংখ্যক বাংলাভাষী মুসলিমের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটের কথা ভেবে অসমের স্থানীয় মুসলিমরা তাদের জন্য সাংবিধানিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারকে তাদের নির্বাচনী প্ৰতিশ্ৰুতি পালন করার দাবি জানিয়েছে। কমপক্ষে ৪০ লক্ষ স্থানীয় মুসলিমদের মঞ্চ সারা অসম গড়িয়া-মরিয়া-দেশী জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বলেন,২০১১,২০১৪ ও ২০১৬ নির্বাচনী ইস্তাহারে শাসক দল বিজেপি গড়িয়া ,মরিয়া,দেশী ইত্যাদি স্থানীয় মুসলিমদের জনগণনা করে তাদের সাংবিধানিক রক্ষা কবচের ব্যবস্থা করার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল।
‘কিন্তু বিজেপি সম্ভবত ওই প্ৰতিশ্ৰুতি ভুলে গেছে এবং তারা এই সম্প্ৰদায়ের জন্য কোনও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেনি’-বলেন রহমান। সম্প্ৰতি সারা অসম গড়িয়া-মরিয়া দেশী জাতীয় পরিষদের কর্মসমিতির এক সভা শহরে অনুষ্ঠিত হয় এবং স্থানীয় মুসলিমদের জন্য সাংবিধানিক রক্ষা কবচের ব্যবস্থা করতে দিশপুরের ওপর চাপ প্ৰয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৯৫১ থেকে ১৯৭১-এর ২৪ মার্চ পর্যন্ত অসমে বসবাসরত ব্যাপক সংখ্যক বাংলাভাষী মুসলিমের জন্য স্থানীয় মুসলিমদের জাতীয় অস্তিত্ব ও সংস্কৃতি বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় ওই সিদ্ধান্ত নেয় গড়িয়া-মরিয়া দেশী জাতীয় পরিষদ।
‘পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম যাদের অনেকবারই বাংলাদেশি বিবেচনা করা হয়েছে তাদের নিয়ে অসমের স্থানীয় মুসলমানরা প্ৰায়ই বিভ্ৰান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় মুসলিমদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন এবং তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই হবে’-বলেন বিশিষ্ট আইনজীবী নেকিবুর জামান। জামান বলেন,স্থানীয় অসমিয়া মুসলিমদের জনগণনা করে তাদের জন্য বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে বিজেপি সরকারের প্ৰতিশ্ৰুতি পালনের এটাই উপযুক্ত সময়।
গড়িয়া মরিয়া পরিষদ দাবি করেছে অসমে ১.২৮ কোটি মুসলিম রয়েছে। এর মধ্যে ৪২ লক্ষ স্থানীয় অসমিয়া মুসলিম। এদের মধ্যে গড়িয়া,মড়িয়া,উজনী,দেশী,জোলা ও পইমলরা অন্তর্ভুক্ত। এই সব জনগোষ্ঠীকে হয় ইসলামে রূপান্তরিত হতে হবে নতুবা ১৩ শো শতাব্দীর মুঘল আহোম লড়াইয়ের যুদ্ধোপরাধী হতে হবে।