আগরতলাঃ অসমে নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)নবায়ন একটা দীর্ঘ মেয়াদি প্ৰক্ৰিয়া এবং সরকার এব্যাপারে মাত্ৰ এক-তৃতীয়াংশেরও কম কাজ সম্পন্ন করেছে। রাজ্যের বরিষ্ঠ মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা শুক্ৰবার এখানে একথা বলেন।
এটা সম্পূর্ণ হয়েছে ঠিকই তবে এবিষয়ে জনগণের ধারণা পাল্টাতেও পারে-বলেন শর্মা। তিনি আরও বলেন,‘অসমে এনআরসি-র মাত্ৰ ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে এর ভিত্তিতে জনগণের কোনও চূড়ান্ত সমাধানে যাওয়া ঠিক হবে না। ‘ইস্যুটি নিয়ে আতঙ্কিত অথবা অস্থিরতা সৃষ্টির কোনও প্ৰয়োজন নেই। এনআরসি-র খসড়ায় যাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাঁরা বৈধ নথিপত্ৰ সহ আবার আবেদন করতে পারবেন। অধিকন্তু ওজর আপত্তি দাখিলের জন্য হাইকোর্ট ও সুপ্ৰিমকোর্ট তো রয়েইছে-উল্লেখ করেন শর্মা।
এনআরসি চূড়ান্তকরণে জাতপাত বা সম্প্ৰদায়ের কোনও বালাই নেই। পুরো প্ৰক্ৰিয়াটি স্বচ্ছ এবং জনস্বার্থে হবে-বলেন তিনি। এনআরসি হচ্ছে অসম চুক্তির একটা অংশ,যা যথা সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। ‘আমরা শুধু চুক্তির নির্দেশিকা অনুসরণ করছি। সুপ্ৰিমকোর্টই এনআরসি-র কাজ তদারক করছে’-বলেন অর্থমন্ত্ৰী। উল্লেখ্য,শর্মা বিজেপি-র ত্ৰিপুরা বিষয়ক দায়িত্বও দেখাশোনা করছেন।
ত্ৰিপুরায় শাসক দল বিজেপি-র শরিক আইপিএফটি এবং বিরোধী আইএনপিটি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ত্ৰিপুরা(এনসিটি)ত্ৰিপুরায়ও এনআরসি-র দাবি জানিয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কংগ্ৰেস বিরোধী উত্তরপূর্ব গণতান্ত্ৰিক জোটের(এনইডিএ)আহ্বায়ক শর্মা বলেন,প্ৰথমত অসমে এটা সফল হতে দিন। সুপ্ৰিমকোর্ট এর বিশ্বাসযোগ্যতাকে তুলে ধরক। আমরা একাজের জন্য ১০০কোটি টাকা ঢেলেছি। তাই কোনও সমাধানে পৌঁছার আগে এর ফলাফলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন,অসমের জনবিন্যাস পাল্টেছে। এক্ষেত্ৰে একটা চুক্তি ও তার কাট অফ ডেট রয়েছে। ত্ৰিপুরায় এসব বিষয় নেই।