অসমে লোকসভা নির্বাচনে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে কোনও আঁতাতে যাবে না কংগ্ৰেসঃ দেবব্ৰত

গুয়াহাটিঃ কংগ্ৰেস বিধান পরিষদীয় দল(সিএলপি)২০১৯-এর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অসমে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে কোনও ধরনের আঁতাতে যাওয়ার বিরোধী। মঙ্গলবার এখানে এক বৈঠক কংগ্ৰেস বিধান পরিষদীয় দল(সিএলপি)এই সিদ্ধান্ত নেয়। সাম্প্ৰতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোটামুটি ফল করার পর কংগ্ৰেস আগামি লোকসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। লোকসভা নির্বাচনে দলের স্ট্ৰ্যাটিজি কী হবে তানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়। তবে লোকসভা নির্বাচন বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউদিএফ-এর সঙ্গে দল কোনও জোট গড়বে না বলে বৈঠকে প্ৰস্তাব নিয়েছে। এদিনের বৈঠকে দলের অধিকাংশ বিধায়কই উপস্থিত ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে কীভাবে ভালো ফল করা যায় তানিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এদিনের সভায় গৃহীত প্ৰস্তাবটি অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটি(এপিএসসি)এবং এআইসিসি সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় দলের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। লোকসভার নির্বাচনে কংগ্ৰেস-এআইইউডিএফ জোট বেঁধে লড়বে বলে সময়ে সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্ৰকাশিত খবর সম্পর্কে দলের তরফে এদিন বৈঠকে প্ৰস্তাব নেওয়া হয় কংগ্ৰেস এআইইউডিএফ তো নয়ই কারো সঙ্গে জোট গড়বে না। নির্বাচনে দল একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এদিন। এই বিষয়টি প্ৰদেশ কংগ্ৰেস নেতৃত্বকে লিখিতভাবে জানানো হবে। এরপর বিধান পরিষদীয় দল ও প্ৰদেশ কংগ্ৰেস নেতৃত্ব হাইকমান্ডকে বিষয়টি জানাতে দিল্লি পাড়ি দেবে। বৈঠক শেষে কংগ্ৰেস পরিষদীয় দলের নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া,যিনি অসম বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাও বলেন,‘কংগ্ৰেস ১৯এর লোকসভা নির্বাচনে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে আঁতাতে যাবে বলে যে গুঞ্জন চলছে আমরা তার সম্পূর্ণ বিরোধী। এই ইস্যু নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে কোনও জোট গড়া যে হবে না আমরা সেকথা প্ৰদেশ কংগ্ৰেস সভাপতিকে জানাব এবং দলীয় হাইকমান্ডকেও বিষয়টি জানানো হবে-বলেন শইকিয়া। ‘এআইইউডিএফ-এর সমর্থনের ভিত ক্ৰমশ তলানির দিকে মোড় নিচ্ছে। সাম্প্ৰতিক পঞ্চায়েত ভোটে মাত্ৰ পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্ৰে ওই দল আংশিক সফল হয়েছে। তাছাড়া এআইউডিএফ সুপ্ৰিমো বদরুদ্দিন আজমল মূলত একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার সাম্ৰাজ্য সম্প্ৰসারণে তাঁর প্ৰয়োজন শাসক দলের সমর্থন কুড়োনো। জাতীয় পর্যায়ে কিছুটা শক্তি বৃদ্ধির পর আজমল এখন কংগ্ৰেসের সঙ্গে আঁতাতে আগ্ৰহ দেখাচ্ছেন। আন্যান্য ইস্যু নিয়ে শইকিয়া বলেন,লোকসভা নির্বাচনে অসমে দলের আসন কী করে বৃদ্ধি করা যায় তা নিয়েও বৈঠকে চুলচেরা আলোচনা করা হয়েছে। নাগরিকত্ব বিল ২০১৬ নিয়ে বিরোধীদের সুপারিশ খারিজ করে দেওয়ায় শইকিয়া যৌথ সংসদীয় কমিটির(জেপিসি)নিন্দা করেন। অসমে বিদেশি নাগরিক ইস্যু নিয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। বিদেশি শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারে ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের মাঝরাতই কাট অফ ডেট হওয়া উচিত,যা ঐতিহাসিক অসম চুক্তিতেও উল্লেখ রয়েছে’-উল্লেখ করেন শইকিয়া।