অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা রূপায়ণে কেন্দ্ৰ শম্বুক গতিতে এগোচ্ছে

গুয়াহাটিঃ অসম চুক্তির ৬ নম্বর দফা রূপায়ণে কেন্দ্ৰীয় সরকার যে প্ৰক্ৰিয়া শুরু করেছিল তা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ছে। চুক্তির ৬নং দফা রূপায়ণে কেন্দ্ৰ নয় সদস্যের যে কমিটি গঠন করেছিল সেই কমিটির অধ্যক্ষ এবং অন্যান্য কয়েকজন সদস্য কমিটিতে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় চুক্তির ওই দফা রূপায়ণে মন্থরতা দেখা দেয়।
এব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে নতুন কমিটি গড়ার ব্যাপারে কেন্দ্ৰীয় সরকারকে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্ৰ কোনও পদক্ষেপ নেবে কি না তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। দিল্লি এবং দিশপুর অবশ্য এটা বুঝতে পেরেছে যে,সারা অসম ছাত্ৰ সংস্থার(আসু)উপস্থিতি ছাড়া এধরনের কোনও কমিটি গড়লে তার ফল সুখকর হবে না। এর কারণ হলো,অসম চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিল আসু। ওদিকে আসুর তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা কমিটিতে অংশ নিচ্ছে না। অসম চুক্তির ৬নম্বর দফায় অসমিয়া মানুষের সংস্কৃতি পরম্পরা,সামাজিক ও ভাষিক অস্তিত্ব সংরক্ষণে কেন্দ্ৰকে সাংবিধানিক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে একাংশ বুদ্ধিজীবী এই মত পোষণ করেছেন যে বছর খানেক আগে এ ধরনের কমিটি গড়া হলে তা যুক্তিযুক্ত হতো। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এধরনের কমিটি গঠনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্ৰণোদিত বলে তাঁরা মনে করছেন। প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদির পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰিসভার এক বৈঠকে এই কমিটি গঠনের প্ৰতি অনুমোদন জানানো হয়েছিল।
১৯৮৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাক্ষরিত অসম চুক্তি রূপায়ণে এপর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি তা অনুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার কথা ছিল। চুক্তির ওই শর্ত রূপায়ণে রাজ্যের শিল্প,কলা,সাহিত্য,সংরক্ষণ,অর্থনীতিবিদ ও অন্যান্য দাবিদারদের সঙ্গে আলোচনা করতেও বলে দেওয়া হয়েছিল কমিটিকে। অসমিয়া ও রাজ্যের অন্যান্য স্থানীয় ভাষার সংরক্ষণে প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্ৰহণের ব্যাপারে সুপারিশ পেশ করতেও কমিটিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।