গুয়াহাটিঃ কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰ বিষয়ক মন্ত্ৰক কোনওরকম গ্ৰেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে যখন তখন যেকোনও ব্যক্তিকে গ্ৰেপ্তার ও তল্লাশি অভিযান চালাতে আসাম রাইফেলসকে বিশেষ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করায় শুক্ৰবার অসম বিধানসভায় রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে বিরোধীরা সদনে ওয়াকআউট করে। এই নির্দেশ নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলের মতো অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে ফের অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে ভেবে কেন্দ্ৰীয় সরকার পরে ওই নির্দেশ থেকে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কেন্দ্ৰ পূর্বের নির্দেশটি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখে ।
উত্তর পূর্বের যে পাঁচ রাজ্যের উদ্দেশে কেন্দ্ৰ ওই নির্দেশ জারি করেছিল সেগুলি হলো অসম,অরুণাচল প্ৰদেশ,মণিপুর,মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড।
বিরোধীরা অসম বিধানসভায় বলেছেন,কেন্দ্ৰের ওই নির্দেশ মানুষের বাঁচার অধিকার ও অবাধ চলাফেরায় বাধার সৃষ্টি করতো। প্ৰশ্নোত্তর পর্বের পর সদনের অন্যান্য কাজকর্ম একপাশে ঠেলে রেখে এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় বিস্তারিত আলোচনার প্ৰস্তাব দিয়েছিলেন তারা। কংগ্ৰেস এবং অগপ বিধায়ক পবীন্দ্ৰ ডেকা ইস্যুটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য পৃথকভাবে মুলতুবি প্ৰস্তাবও রাখেন। কিন্তু অধ্যক্ষ মুলতুবি প্ৰস্তাবে সায় না দেওয়ায় কংগ্ৰেস এবং এআইইউডিএফ সদনে ওয়াকআউট করে।
এদিকে ইস্যুটি সম্পর্কে মুলতুবি প্ৰস্তাব এনে বিরোধী দল নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া বলেন,আসাম রাইফেলসকে এজাতীয় ক্ষমতা দেওয়া হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলে অঘোষিত জরুরি অবস্থাই জারি করা হবে। মানুষের বসবাস ও চলাফেরার স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হবে ভয়ঙ্করভাবে। তাই এমন প্ৰস্তাবের বিরোধিতা করা দিশপুরের উচিত বলে মনে করে বিরোধীদলটি ।