টংলাঃ বোড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল কাউন্সিলকে(বিটিসি)ইউনিয়ন টেরিটরিয়াল কাউন্সিলে(ইউটিসি)উন্নীত করা সম্পর্কে প্ৰকাশিত রিপোর্টের বিরোধিতা করে সারা কোচ রাজবংশী ছাত্ৰ সংস্থা(আক্ৰাসু),অবোড়ো সুরক্ষা সমিতি এবং কোচ রাজবংশী সম্মিলনীর যৌথভাবে ডাকা ৪৮ ঘণ্টা অসম বনধে সোমবার ওদালগুড়ি জেলার স্বাভাবিক জীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এদিন ওদালগুড়ি জেলায় ব্যবসা প্ৰতিষ্ঠান,সরকারি এবং বেসরকারি কার্যালয়,বাজার,দোকানপাট ইত্যাদি বন্ধ থাকে। টংলা,কলাইগাঁও,ডিমাকুচি,মাজবাট,খৈরাবাড়ি,রৌতা,হরিশিঙ্গা,পানেরি ও ওদালগুড়ি সহ জেলার প্ৰধান শহরগুলিতে বনধ ছিল সর্বাত্মক। সারা দিনই বাণিজ্যিক এবং বেসরকারি গাড়িগুলিকে পথে নামতে দেখা যায়নি।
কলাইগাঁওয়ে বনধ সমর্থকরা টায়ার জ্বালিয়ে প্ৰতিবাদ জানান। বনধ সমর্থকরা বাণিজ্যিক যান বাহনের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে সেগুলির ক্ষতিসাধন করেন।
পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী সারাদিনই জেলার শহরগুলিতে টইল দিয়েছে বনধ সমর্থকদের যেকোনও ধরনের অবাঞ্ছিত ও অপ্ৰীতিকর ঘটনা প্ৰতিরোধের জন্য। আক্ৰাসুর ওদালগুড়ি(পশ্চিম)শাখার সভাপতি হেমন্ত বরা কোচ সাংবাদিকদের বলেন,‘বিটিএডিতে আমরা কখনোই ইউনিয়ন টেরিটরিয়াল কাউন্সিল মেনে নেবো না যেহেতু এটা ঐতিহাসিক কামতাপুর রাজ্যেরই একটা অংশ।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টা বনধের প্ৰথম দিন কোকরাঝাড়ে মিশ্ৰ সাড়া পড়ে। দোকানপাট,ব্যবসা প্ৰতিষ্ঠান বন্ধই ছিল। বাজারে খদ্দের তেমন দেখা যায়নি। তবে সরকারি অফিসে স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলে। কোকরাঝাড়ে শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানগুলি খোলাই ছিল। কোকরাঝাড় শহরে স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে মোটর গাড়ি। ওদিকে আবসু সভাপতি প্ৰমোদ বোড়ো বলেন,বর্তমান বিটিসিকে উন্নীত করে ইউটিসি করার বিতর্কটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।