গুয়াহাটিঃ অসমে সক্ৰিয় ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়র্ক ফাঁস করতে উত্তরপ্ৰদেশ পুলিশের সন্ত্ৰাস বিরোধী স্কোয়াডের কর্মকর্তারা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে এব্যাপারে অসম পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে। এটিএস-এর দলটি মধ্য অসমের হোজাই জেলায় শিবির গেড়ে ইতিমধ্যেই হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি কামারুজ্জামানের কার্যকলাপ ও পশ্চাৎপট নিয়ে তাদের তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এগিয়ে নিয়েছে। এটিএস গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্ৰদেশের কানপুর থেকে হোজাই জেলার কামারুজ্জামানকে গ্ৰেপ্তার করে। ২০১৭-তে অসম থেকে নিখোঁজ হয়েছিল কামারুজ্জামান। তদন্তে দেখা গেছে,এবছর আগস্টে কামারুজ্জামান অসমে আসে এবং তার কিছু বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলে হিজবুল মুজাহিদিনে টানার উদ্দেশ্যে।
আইএসআই-র মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি ভারতের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। কামারুজ্জামান বৃহত্তর গুয়াহাটির বাসিন্দা ওমর ফারুকের বাড়িতে ভাড়া ছিল। হিজবুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে গুয়াহাটি পুলিশ ইতিমধ্যেই ওমরকে বর্নিহাট থেকে গ্ৰেপ্তার করেছে। রবিবার ওমরকে হোজাইয়ে নিয়ে যাওয়া হলে সে সাংবাদিককে বলে কামারুজ্জামান তার ভাড়া বাড়িতে এসে দিন কয়েক ছিল। কামারুজ্জামান হিজবুলের হয়ে কাজ করছে জেনেও ওমর টাকার লোভে তার ভাড়া ঘরে তাকে আশ্ৰয় দিয়েছিল। ওমর বলেছে,জঙ্গি সংগঠনটির বিস্তারের জন্য কামারুজ্জামান অসমে এসেছিল।
এদিকে অসম পুলিশ হোজাই জেলার লংকা থেকে সইদুল আলম নামে এক যুবককে গ্ৰেপ্তার করেছে। পুলিশের সন্দেহ জঙ্গি সংগঠনের বিস্তারে আলমই মূল মাথা। হিজবুলের সঙ্গে সংযোগ থাকার অভিযোগে শাহনওয়াজ নামে আরও এক যুবককে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ। হোজাইয়ের পুলিশ সুপার অঙ্কুর জৈন সেন্টিনেলকে বলেন,কামারুজ্জামান গত এপ্ৰিলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার সংযোগ থাকার কথা ফেসবুকে পোস্ট করার পরই পুলিশ ইসলামিক সন্ত্ৰাসী সংগঠনের নেটওয়র্ক ফাঁস করতে উঠেপড়ে লাগে। এই জঙ্গি সংগঠনের নেটওয়র্ক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।