ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ এগোচ্ছে

শিলচরঃ প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্বপ্নের প্ৰকল্প ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণের কাজে ফের গতি সঞ্চার হয়েছে বিভিন্ন সম্প্ৰদায়ের মানুষ ও যুব সংগঠগুলি করিডরের কাজ দ্ৰুত শেষ করার দাবি জানানোর পরিপ্ৰেক্ষিতে। এই করিডর নির্মাণ হলে সৌরাষ্ট্ৰের সঙ্গে শিলচরের যোগসূত্ৰ গড়ে উঠবে। ডিটেকছড়া থেকে মাইবাং অবধি করিডরের কাজ দ্ৰুতলয়ে এগোচ্ছে। বালাছড়া ও হারাঙ্গাজাওয়ের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের প্ৰায় ৩১ কিমি দীর্ঘ এলাকার কাজ বেশ কবছর তাকে তুলে রাখা হয়েছিল,এলাকাটি বড়াইল অভয়ারণ্যের মধ্যে পড়ার অজুহাতে।
লালফিতার ফাঁসেও আটকে পড়েছিল এই এলাকার কাজ। ৩১কিমি এলাকা মুক্ত করতে তদানীন্তন রাজ্য সরকারের আগ্ৰহেও খামতি দেখা গেছে। তবে সোনোয়াল সরকার ক্ষমতার আসার পর এবং কেন্দ্ৰের এনডিএ সরকারের সহযোগিতার ফলে বড়াইল অভয়ারণ্যের অজুহাত থেকে এলাকাটি মুক্ত করা গেছে। তদানীন্তন ইউপিএ সরকার ও পূর্বতন তরুণ গগৈ সরকার যে করিডর বাস্তবায়িত করতে চাননি সেটা এখন পরিষ্কার। সম্প্ৰতি বন ও পরিবেশ মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য নিজে দায়িত্ব নিয়ে ওই এলাকার সমস্যা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন।
রাজ্যে বিজেপি এবং বরাকের জেলা শাখা বাজপেয়ীর স্বপ্নের প্ৰকল্প দ্ৰুত বাস্তবায়নে জোর চাপ দেয়। শুক্লবৈদ্য সম্প্ৰতি হাইওয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম,ডিএফও সানিদেও ইন্দ্ৰদেও ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাছাড়া বড়াইল অভয়ারণ্য ঘুরে তিনি বুঝতে পেয়েছেন যে,ওই ৩১ কিমি এলাকা দিয়ে পথ হলে তা প্ৰকৃতি পরিবেশের ওপর কোনও বিরূপ প্ৰভাব ফেলবে না।