উজান অসমে নির্বাচনে বাগান শ্ৰমিকরাই নির্ণায়ক ভূমিকা নেবেন

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্ৰে ১১ এপ্ৰিল প্ৰথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্ৰগুলি হচ্ছে ডিব্ৰুগড়,যোরহাট,লখিমপুর,তেজপুর ও কলিয়াবর। কেন্দ্ৰগুলির অধিকাংশই মূলত চা বাগান অঞ্চলের এক্তিয়ারভুক্ত। রাজ্যের প্ৰায় ৭০ শতাংশ চা বাগান রয়েছে উজান অসমে। এই সব বাগানের ৫-৬ লক্ষ ভোটার উজান অসমের প্ৰতি নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে আসছেন। এবারের সাধারণ নির্বাচনেও যে এই প্ৰবণতার কোনও হেরফের হবে না সেটা আগেভাগেই আঁচ করা যায়।
রাজ্যে ২০১৪ সালের লোকসভা ও ২০১৬ তে বিধানসভা নির্বাচনের সময় চা বাগানের ভোটাররা বিজেপি মুখী হন। উজান অসমে একসময়ে কংগ্ৰেসের এই শক্ত দুর্গে সেবারই প্ৰথম থাবা বসার বিজেপি। এরআগে উজান অসমের এই বাগানগুলিতে কংগ্ৰেসের একচ্ছত্ৰ আধিপত্য ছিল। এমনকি ১৯৮৫ সালে অগপ টেউ চলাকালেও কংগ্ৰেসের এই শক্ত দুর্গ তারা ভাঙতে পারেনি। বাগানের ভোট কংগ্ৰেসই ধরে রাখে।
তবে গত দুটো নির্বাচনে বাগান শ্ৰমিকরা কংগ্ৰেসের প্ৰতি আস্থা হারিয়ে বিজেপি-র সমর্থনে এগিয়ে আসেন। এর প্ৰধান কারণ হল রাজ্যে দীর্ঘদিনের কংগ্ৰেস শাসনে বাগান এলাকার কোনও উন্নয়ন না হওয়ায় বাগান শ্ৰমিকরা বিজেপি-র দিকে ঝোঁকেন। এছাড়াও কংগ্ৰেস সাফল্যের আশায় একই প্ৰার্থীদের নির্বাচনে দাঁড় করানোও এর আরও একটা কারণ। এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায় ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে। সেবার মরিয়নির তরুণ প্ৰার্থী রূপজ্যোতি কুর্মি এবং গোলাঘাটের অজন্তা নেওগ ছাড়া উজানের বাকি কেন্দ্ৰগুলিতে কংগ্ৰেসকে হার মানতে হয়। বিজেপি ঝড়ে উজানের অন্যান্য কেন্দ্ৰগুলিতে ভেসে যান কংগ্ৰেস প্ৰার্থীরা। এরপরই উজানের বাগানগুলির জন্য বিজেপি বিনামূল্যে চাল ও চিনি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। বাগানের সন্তানসম্ভবা মহিলাদের এককালীন ১২ হাজার টাকা সাহা্য্য এবং বাগান শ্ৰমিকদের প্ৰত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। বিজেপি-র এই ভূমিকা বাগান শ্ৰমিকদের মধ্যে যথেষ্ট প্ৰভাব ফেলেছে।