গুয়াহাটিঃ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ঠেকাতে গুয়াহাটির পানবাজারে অল উইম্যান পুলিশ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছিল। উত্তর পূর্বাঞ্চলে এটিই প্ৰথম মহিলা পুলিশ স্টেশন। কিন্তু বিভিন্ন পরিকাঠামোগত দিক থেকে এই মহিলা থানার অবস্থা খুবই শোচনীয়। ১৯৯৩ সালে এই মহিলা থানা প্ৰতিষ্ঠিত হওয়া পর থেকেই নানা পরিকাঠামোগত সমস্যায় ভুগছে। এই মহিলা থানায় স্টাফের ঘাটতি প্ৰায় রোজকার সমস্যা।
গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনারেট যখন গঠিত হয়েছিল সেই সময় অর্থাৎ ২০১৫-র ১ জানুয়ারি থেকে অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার অফ পুলিশ(এসিপি)এই মহিলা থানার সংস্পর্শে আসা সত্ত্বেও থানার অবস্থার উন্নতি হয়নি। থানায় মাত্ৰ দুজন সাব-ইন্সপেক্টর কাজ করছেন। অথচ থানায় সাব-ইন্সপেক্টরের সেংশন পোস্ট রয়েছে ৩টি। এএসআই-র তিনটি পদ মঞ্জুর থাকা সত্ত্বেও একজন ওই পদে নেই মহিলা থানায়। অনুরূপভাবে থানায় নেই একজনও হেড কনস্টেবল। অথচ থানার প্ৰতিষ্ঠা লগ্ন থেকে হেড কনস্টেবলের ৩০টি মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে মাত্ৰ ১২ জন মহিলা কনস্টেবল রয়েছেন। থানায় কোনও সেকেন্ড অফিসার নেই।
আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে,অভিযুক্তদের আদালত অথবা হাসপাতালে নেওয়ার জন্য থানায় নেই কোনও গাড়ি। অভিযুক্তদের আদালত অথবা অন্য কোথাও নিতে হলে ওসির গাড়িটিই প্ৰয়োজনে ব্যবহার করা হতে থাকে। ৯৩ সালে মহিলা থানা প্ৰতিষ্ঠার সময় থেকেই উল্লিখিত পদগুলি মঞ্জুর করা হয়েছিল।
এই থানায় রোজ কমপক্ষেও তিনটি মামলা নথিভুক্ত হচ্ছে। প্ৰতিষ্ঠা লগ্নেই এই থানার এক্তিয়ার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কামরূপ। কিন্তু সরকারি এক্তিয়ারের বাইরে মামলা নথিভুক্ত হচ্ছে এই থানায়। ২০১৮ সালে এই থানায় ৯৮টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।