উত্তরপূর্বাঞ্চল অবৈধ বাংলাদেশিদের আস্তাকুঁড়ে নয়ঃ সমুজ্জ্বল

গুয়াহাটিঃ উত্তর পূর্ব ছাত্ৰ সংগঠন এনইএসও(নেসো)নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৬, ফরেনার্স(অ্যামেন্ডমেন্ট)অর্ডার ২০১৫,ভারতে প্ৰবেশের ক্ষেত্ৰে পাসপোর্ট বিজ্ঞপ্তি ২০১৫ এবং বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিকদের দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা ইস্যু করার প্ৰস্তাবের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নেসোর চেয়ারম্যান স্যামুয়েল জিরওয়া বুধবার গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের একথা জানান। তিবি বলেন,‘বিলটি যদি সংসদে পাস হয় তাহলে সারা উত্তর পূর্বাঞ্চলের দীর্ঘ মেয়াদি প্ৰভাব পড়বে। এই বিল পাস হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেবে। এই অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্ৰবেশের ঘটনায় আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সামাজিক উত্তেজনা ও দুশ্চিন্তা বৃদ্ধিতে লাগাতার ইন্ধন জোগাচ্ছে অনুপ্ৰবেশের বিষয়টি। ত্ৰিপুরায় ইতিমধ্যে উপজাতিদের অস্তিত্ব হারিয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্ৰবেশ অদূর ভবিষ্যতে অসমের ভূমিপুত্ৰদের অস্তিত্বকে বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দেবে’-বলেন স্যামুয়েল।
স্যামুয়েল আরও বলেন,বিতর্কিত নাগরিক বিল ফরেনার্স অ্যামেন্ডমেন্ট অর্ডার,দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা ইস্যুর প্ৰস্তাব প্ৰত্যাহার করার দাবি জানিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এই দাবিগুলি নিয়ে আগামি ২০ নভেম্বর আমরা গুয়াহাটিতে প্ৰতিবাদ জানাবো। ৩০ নভেম্বর উত্তরপূর্বের সাত রাজ্যের রাজধানী শহরে প্ৰতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। সংসদের আগামি অধিবেশনে রাজধানী দিল্লিতে প্ৰতিবাদ জানাবে নেসো। বিল বাতিলের পক্ষে সমর্থন আদায়ে উত্তরপূর্বের সাত রাজ্যের বিধায়ক,সাংসদদের সঙ্গে নেসো বৈঠক করবে। নেসোর উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্য বলেন,এব্যাপারে উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনও রাজ্যই একা নয়। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য যেহেতু এই সমস্যায় জর্জরিত তাই এই ইস্যুগুলি নিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবেই এগিয়ে যাবো।
‘আমি কেন্দ্ৰের কাছে জানতে চাই,কেন কেন্দ্ৰ বিতর্কিত নাগরিক সংশোধনী বিলটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। আমি কেন্দ্ৰকে সতর্ক করে দিতে চাই,উত্তর পূর্বাঞ্চল অবৈধ বাংলাদেশিদের কোনও আস্তাকুঁড়ে নয়। ভোট ব্যাংক ধরে রাখার এটা একটা বিপজ্জনক পন্থা ছাড়া আর কিছুই নয়’-বলেন সমুজ্জ্বল।