Begin typing your search above and press return to search.

উত্তাল অরুণাচল, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন

উত্তাল অরুণাচল, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  25 Feb 2019 12:18 PM GMT

প্রতিবাদীদের ক্ষোভের আগুনে পুড়ে গেল ইটানগরে অরুণাচল প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেনের বাসভবনের একাংশ। পাশাপাশি শহরের অনেক বাড়ি ও গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।রাজ্যের নামসাই ও চাংলাং জেলায় কয়েক দশক ধরে বসবাসরত ছ’টি সম্প্রদায়কে স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট, পিআরসি) মঞ্জুর করার সুপারিশ করেছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যৌথ কমিটি।

উল্লেখ্য, এসটি সম্প্রদায় অরুণাচলের জনজাতি নয়। কমিটির এই সুপারিশের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। রবিবার সেই বিক্ষোভ চরমে পৌঁছোয়।জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডুর বাসভবনেরও ক্ষতি করার চেষ্টা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এক জন বিক্ষোভকারী আহত হন।

কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা জানা যায়নি।প্রতিবাদকারীরা ইটানগর ও নাহারলাগুনে দু’টি থানার ক্ষতি করে, ইটানগরে ডেপুটি কমিশনারের অফিস তছনছ করে এবং নাহারলাগুনে বন ও পরিবেশমন্ত্রী নবম রেবিয়ার একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়।উল্লেখ্য, যে কমিটি ওই ছয় সম্প্রদায়কে পিআরসি দেওয়ার সুপারিশ করেছে, রেবিয়া সেই কমিটির অন্যতম সদস্য।রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কুমার ওয়াই রবিবার সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “খুবই উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য রাজ্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে।” ইটানগরে ছ’কোম্পানি আইটিবিপি (ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ) মোতায়েন করা হয়েছে।

অরুণাচলের জনজাতি নয় এমন ছ’টি সম্প্রদায়কে পিআরসি দেওয়া নিয়ে স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্রোধের সঞ্চার হয়েছে। তাঁরা মনে করেন, বিজেপি-শাসিত সরকার ভোটের রাজনীতি করছে এবং এর মূলে রয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেন।বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে ৪৮ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়। বন্‌ধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবারে এক জন প্রতিবাদকারী গুলিতে নিহত হন। পাথর ছোড়া ও নানা হিংসাত্মক ঘটনায় বেশ কিছু পুলিশ-সহ অসংখ্য মানুষ আহত হন। ১০০টিরও বেশি গাড়িতে হয় আগুন দেওয়া হয় নতুবা ভাঙচুর চালানো হয়।

সরকারি কমিটির সুপারিশ নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের বিক্ষোভের জেরে বিধানসভা অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয় এবং ইটানগরে কারফিউ জারি করা হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে তলব করা হয়। সেনা ইটানগরে ফ্ল্যাগ মার্চও করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রবিবারে ইটানগর হিংসাত্মক হয়ে ওঠে।

Next Story