উমানন্দ দ্বীপকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে সচেতনতা অভিযান এনজিও-র

গুয়াহাটিঃ বিশ্ব জল দিবস ২০১৯ উপলক্ষে বেসরকারি সংস্থা(এনজিও)ভয়েস অফ এনভায়রনমেণ্ট(ভিওই)গুয়াহাটিতে ব্ৰহ্মপুত্ৰের বুকে থাকা উমানন্দ দ্বীপকে প্লাস্টিক মুক্ত করে পরিবেশ বান্ধব স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে এক সচেতনতা প্ৰচার অভিযানের আয়োজন করে। ঐতিহ্যপূর্ণ উমানন্দ দ্বীপকে আবর্জনা মুক্ত একটা পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব প্ৰাঙ্গণ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রবিবার এই গণ সচেতনতা অভিযানের সূচনা করে তারা।
উমানন্দ দ্বীপ জৈব বৈচিত্ৰ্যে ভরপুর। দুর্লভ প্ৰজাতির সোনালি বাঁদরও রয়েছে এখানে। তাই দ্বীপের এই সমৃদ্ধ সম্পদরাজির সুরক্ষা ও সেগুলির সংরক্ষণ করা একান্তই অপরিহার্য। নয়নাভিরাম এই ছোট্ট নদ্বীদীপের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। ইকো-টুরিজমের ক্ষেত্ৰেও দ্বীপটির রয়েছে এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সারা দেশ এবং বিদেশ থেকেও সহস্ৰাধিক ভক্ত এই দ্বীপ পরিদর্শনে এসে থাকেন। উমানন্দে দেবাদিদেব মহাদেবের পূজা অর্চনার পাশাপাশি মানুষ এই দ্বীপের সৌন্দর্য চুটিয়ে উপভোগ করেন। কিন্তু কিছু ভক্ত ও পর্যটক প্লাস্টিকের ব্যাগ,পানীয় জলের বোতল ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে আসেন। তাছাড়া অজ্ঞানতাবশত প্লাস্টিকের ওই সামগ্ৰীগুলি দ্বীপের সর্বত্ৰ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যান। এরফলে দ্বীপভূমির প্ৰকৃতি ও জৈববৈচিত্ৰ্যে এর বিরূপ প্ৰভাব পড়ছে। এই সব বর্জ্য প্লাস্টিক উমানন্দ দেবালয় পরিচালনা সমিতি এবং কামরূপ(মেট্ৰো)জেলা প্ৰশাসনের কাছে রীতিমতো মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন্দির চত্বর ও আশপাশ এলাকায় প্ৰতিদিন ফেলে যাওয়া ওই সব বর্জ্য প্লাস্টিক কুড়োতে গিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও প্ৰশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকে আবার ওই সব বর্জ্য প্লাস্টিক সোজা ব্ৰহ্মপুত্ৰে ফেলছেন। এরফলে এগুলো ডলফিন ও অন্যান্য জলজ প্ৰাণীর বেঁচে থাকার ক্ষেত্ৰে হুমকির সৃষ্টি করছে।
তাই বেসরকারি সংস্থা ভিত্তই উজানবাজার ফেরিঘাট থেকে যাঁরা উমানন্দ দ্বীপে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্ৰচার অভিযানে নামে। ভিত্তই-র এই মিশনের প্ৰতি সমর্থন জানিয়েছে উমানন্দ দেবালয় পরিচালনা সমিতি,জেলা প্ৰশাসন ও অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ সেবা। ভিত্তই-র দলটি রবিবার ১০-৩০ মিনিট থেকে উজান বাজার ফেরিঘাটে এই সচেতনতা অভি্যান চালায়। মন্দির চত্বর পরিষ্কার করা ছাড়াও উমানন্দে আসা দর্শকদের সঙ্গেও মত বিনিময় করে তারা। ইউএনডিপি-র পরিবেশ সংক্ৰান্ত আধিকারিক কুমার দীপক এই বিশেষ দিনটিতে মন্দিরে আসা সব দর্শনার্থী ও পর্যটকদের উমানন্দ দ্বীপের জৈব বৈচিত্ৰ্য অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। কামাখ্যা ও বশিষ্ঠ মন্দিরেও প্লাস্টিক বর্জনে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে এই এনজিওটি।