
গুয়াহাটিঃ অবশেষে বিদেশি ঘোষিত স্কুল শিক্ষক তথা এনআরসি কর্মী খাইরুল ইসলামকে মরিগাঁও পুলিশ বুধবার রাতে মৈরাবাড়ি থেকে গ্ৰেপ্তার করেছে। মরিগাঁও-এর পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা এই প্ৰতিবেদককে একথা জানান। ‘গৌহাটি হাইকোর্ট খাইরুলকে বিদেশি ঘোষণা করে যে রায় দিয়েছে সেই অর্ডারের কপি ইতিমধ্যেই আমরা হাতে পেয়েছি’। খান্দপুখুরি প্ৰাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক খাইরুল ইসলামকে কলমৌবারিতে এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ার কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই এনাআরসি সেবাকেন্দ্ৰে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিদেশি ট্ৰাইবুলানও ইতিপূর্বে খাইরুলকে বিদেশি ঘোষণা করেছিল। পুলিশ অভিযানে নেমে বুধবার রাতে মৈরাবাড়ির গ্ৰাম থেকে খাইরুলকে গ্ৰেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার খাইরুলকে তেজপুরের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়-বলেন পুলিশ সুপার।
এদিকে পুলিশ এখন খাইরুলের পরিবারকে খুঁজছে। মরিগাঁও পুলিশ সুপারের মতে,খাইরুলের পরিবারে রয়েছে তার মা ও দুই ভাই ও এক বোন। বিদেশি ট্ৰাইবুনাল ও গৌহাটি হাইকোর্ট উভয়েই এদের সবাইকে বিদেশি ঘোষণা করেছে। ২০০৩ সাল থেকে মরিগাঁও বিদেশি ট্ৰাইবুনালে খাইরুলের বিরুদ্ধে প্ৰক্ৰিয়া চলছিল। মরিগাঁও বিদেশি ট্ৰাইবুনাল ও হাইকোর্ট খাইরুলকে বাংলাদেশি নাগরিক ঘোষণা করা সত্ত্বেও তিনি জেলার মিকিরভেটা থানা এলাকার কলমৌবারি কেন্দ্ৰে এনআরসি নবায়নের কাজে জড়িয়েছিলেন। মরিগাঁও বিদেশি ট্ৰাইবুনাল খাইরুলকে বিদেশি ঘোষণা করার খবরটি প্ৰচার মাধ্যমে প্ৰকাশিত হওয়ার খবর জানতে পেরে মরিগাঁও জেলা প্ৰশাসন এনআরসি-র কাজ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়।