এনআরসিতে কোনও ভারতীয় নাম বাদ দেওয়া হলে সম্মিলিতভাবে কংগ্ৰেস রাস্তায় নামবে,তারপরও যদি সমাধান না হয় তবে প্ৰতিবাদী আন্দোলনে অসম-বিধানসভা ভেঙে চুরমার করে দিবেন বলে নিলামবাজারে আয়োজিত দলীয় নির্বাচিতদের সংবর্ধনা সভায় হুঙ্কার ছুড়ে দিলেন মহিলা কংগ্ৰেসের সর্বভারতীয় সভানেত্ৰী তথা শিলচরের সুস্মিতা দেব। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিল মানি না,নিঃশর্তে নাগরিকত্ব বিল আনা হলে স্বাগত জানাবো,এমনই মন্তব্য করে ফের একবার নাগরিকত্ব বিল সংক্ৰান্ত বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব।
বিজেপির বিধায়করা এনআরইজিএসের কাজের ম্যাটেরিয়েলস সাপ্লাইয়ের নামে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অবাধে দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছেন,চেকিং গেট থেকে তুলা আদায়ে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে নাম না করে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালকে নিশানা করে করিমগঞ্জ জেলাশাসকের বিরুদ্ধে তোপ দেখে রণংদেহী মেজাজে বলেন,ডিসির সাহস থাকলে তদন্ত করুন বলে মন্তব্য করে কং নেত্ৰী সুস্মিতা দেব। আচ্ছেদিন আসেনি আর আসবেও না বলে করে পঞ্চায়েত প্ৰতিনিধিদের স্বচ্ছ কাজের মাধ্যমে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,বছরে দুই কোটি চাকরি দেওয়ার বিজেপির বুমেরাং হয়েছে,মোদীর আমলে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড গড়েছে,দেশকে খাদের মধ্যে থেকে তুলে আনতে আগামী দিনে কেন্দ্ৰের ক্ষমতায় কংগ্ৰেস আসছে দাবি দলের কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহিত করেন সুস্মিতা। ভৈরব নগর জেলা পরিষদ আসনের বিতর্ক উসকে দিয়ে শাসকদলকেই নিশানা করেন প্ৰাক্তন মন্ত্ৰী সিদ্দেক আহমেদ,করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ও সতু রায়। বিজেপির অপশাসনে বীতশ্ৰদ্ধ দেশের জনগণ। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এরই প্ৰভাব পড়েছে বলে কংগ্ৰেসের জয়জয়কার হয়েছে বলে দাবি করেন সিদ্দেক ও কমলাক্ষ। সভায় সংবর্ধিত হন নবনির্বাচিতব পঞ্চায়েত প্ৰতিনিধিরা,অকংগ্ৰেসি নবনির্বাচিত প্ৰায় ২০ জন জনপ্ৰতিনিধি এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন কংগ্ৰেসে।
মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনু্যায়ী দুপুর একটা নাগাদ দক ব্লক কংগ্ৰেসের ব্যবস্থাপনায় নিলামবাজার খেলার মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সহস্ৰাধিক কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে ব্লক কংগ্ৰেস সভাপতি শাহাদত হোসেনের পৌরোহিত্য নবনির্বাচিত কংগ্ৰেসি জনপ্ৰতিনিধি ও সাংগঠনিক কর্মকর্তাদের সংবর্ধিত করা হয়। এদিনের সভায় শুরুতেই অতিথিদের বরণ ও ক্ৰমান্বয়ে করিমগঞ্জ জেলার দলীয় সমস্ত জেলা পরিষদ সদস্য-সদস্যা,দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভা সমষ্টির অন্তর্গত একুশ জিপির সভাপতি-সভানেত্ৰী,আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যা এবং যাবতীয় পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যাদের ফুলের মালা,উত্তরীয় ও দলীয় ব্যাজ প্ৰদান করে সংবর্ধিত করা হয়। সভায় স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন্ন্জেলা কংগ্ৰেসের সভাপতি সতু রায়। তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ভৈরবনগর জেলা পরিষদ আসনটি দু নম্বরি করে বিজেপি প্ৰশাসনের নির্লজ্জ ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্ৰকাশ করেন। সামনে লোকসভা ভোটের জন্য কর্মীদের প্ৰস্তুত থাকার আহ্বান জানান জেলা সভাপতি রায়।
ওই দিনের সভায় মুখ্য আকর্ষক সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্ৰেসের সভানেত্ৰী সুস্মিতা দেব দীর্ঘ বক্তব্যে আগাগোড়া বিজেপিকেই নিশানা করার পাশাপাশি ফের একবার নাগরিকত্ব বিল নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন,ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বিল মানি না,নিঃশর্তে বিল আনা হলে স্বাগত জানাবেন বলে মন্তব্য করেন। শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব এনআরসি নিয়ে বলেন,কোবও ভারতীয় নাম কাটা বলে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামবে তার দল,এমনকি প্ৰয়োজনে প্ৰতিবাদে অসম বিধানসভা গুড়িয়ে দিতেও পিছ পা হবেন না বলে মন্তব্য জনতাকে ভরসা দেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-এআইইউডিএফ দুই সাম্প্ৰদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে টক্কর দিয়ে তৃনমূলস্তরের কংগ্ৰেসিরা শক্তি প্ৰদর্শন করেছে,আগামী লোকসভায় ভোটের জন্য তৈরি হতে দলীয় কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি। বছরে দুই কোটি চাকরি দেওয়ার বিজেপির প্ৰতিশ্ৰুতি অসারে গেছে,মোদির আমলে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড গড়েছে বলে দাবি তুলে শাসকদের তুলোধোনা করেন দলের প্ৰয়াত কেন্দ্ৰীয় নেতা সন্তোষ তবয়া সুস্মিতা।