গুয়াহাটিঃ বাংলাদেশি মুক্ত এনআরসি প্ৰকাশ সুনিশ্চিত করাই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। এনআরসি-র খসড়ায় নাম অন্তর্ভুক্তির প্ৰশ্নে কোনও ব্যক্তির যোগ্যতার বিরুদ্ধে আপত্তি তোলা অন্য কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর আপত্তির স্বপক্ষে উপযুক্ত প্ৰমাণ দিতে ব্যর্থ হন তাহলে সেই ব্যক্তির শাস্তি অথবা জেল হওয়ার যে ব্যবস্থা রয়েছে তা প্ৰত্যাহার করতে রাজ্য সরকার কেন্দ্ৰের কাছে প্ৰস্তাব রেখেছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের শর্ত ও বিধি ব্যবস্থা এবং নাগরিকত্ব(রেজিস্ট্ৰেশন অফ সিটিজেন্স অ্যান্ড ইস্যু অফ ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ডস)রুলস,২০০৩ অনুযায়ী এনআরসি-র পুরো নবায়ন প্ৰক্ৰিয়া চলছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি অন্য কোনও ব্যক্তিকে বিদেশি আখ্যা দিয়ে ভুল তথ্য নথিভুক্ত করান তাহলে সেই ব্যক্তির জরিমানা এবং এমনকি আইন অনুযায়ী জেলও হতে পারে। চলতি এনআরসি নবায়ন প্ৰক্ৰিয়ায় ৩০ জুলাইয়ে প্ৰকাশিত সম্পূর্ণ খসড়ায় একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্তি অযোগ্য মনে করলে আপত্তি দাখিল করতে পারেন। চূড়ান্ত এনআরসিতে নাম কর্তনের ব্যাপারে আপত্তির বিষয়ে একটা অংশ পর্যালোচনা ও শিথিল করার জন্য দিশপুর রবিবার কেন্দ্ৰের কাছে প্ৰস্তাব রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্ৰসিডিউর(এসওপি)সম্পর্কে মন্ত্ৰিসভার ওই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্ৰিসভার বৈঠকে আশঙ্কা প্ৰকাশ করা হয়েছে জরিমানা,হাজতবাসের ব্যবস্থা প্ৰত্যাহার করা না হলে আপত্তির পরিমাণ হ্ৰাস পাবে। দিশপুর চায় কারো অযোগ্যতা প্ৰমাণ করার বিষয়টি এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। এই প্ৰস্তাব কার্যকরী হলে চূড়ান্ত এনআরসি অনেকাংশে নির্ভুল হবে। মন্ত্ৰিসভা এই অনুভুতির কথাই স্বরাষ্ট্ৰ মন্ত্ৰকের কাছে সুপারিশ করেছে। এনআরসিতে নামছুটদের দাবি ও ওজর আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য আরজিআই ও স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক এসওপি প্ৰস্তুত করছে। সুপ্ৰিমকোর্ট এরআগে কেন্দ্ৰকে ১৫ আগস্টের মধ্যে এসওপি দাখিল করতে বলেছিল। এনআরসি মামলা নিয়ে ১৬ তারিখ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে তারা। স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰকের এসওপি দাখিল করার পরই তা পরীক্ষা করে শীর্ষ আদালত তার মতামত জানাবে।