এলজিবিআই বিমানবন্দরে শীঘ্ৰই চালু হচ্ছে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা

গুয়াহাটিঃ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির রপ্তানিকারকদের তাদের রপ্তানি পণ্যের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের(শুল্ক ছাড়পত্ৰ)জন্য আর বেশিদিন কলকাতা ছুটে যেতে হবে না। গুয়াহাটির বরঝাড় স্থিত লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে খুব শিগগিরই কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার(এএআই)একজন কর্মকর্তা এখানে সেন্টিনেলকে বলেন,লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে(এলজিবিআই)কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সুবিধা চালু করার জন্য এএআই যাবতীয় সব পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা ছাড়াও এব্যাপারে প্ৰয়োজনীয় অনুমোদনও পেয়ে গেছে। তিনি বলেন,এই সু্যোগ সুবিধাগুলি চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামি বছর জানুয়ারি মাসের গোড়াতেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের ব্যবস্থা চালু হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলে এধরনের সুবিধা থাকা এলজিবিআই-ই হবে এজাতীয় প্ৰথম বিমান বন্দর। বর্তমানে রপ্তানিকারকদের শুল্ক ছাড়পত্ৰ সংগ্ৰহের জন্য কলকাতা ছুটে যেতে হয় এবং এরজন্য তাদের বাড়তি অর্থ গচ্চা দিতে হয়। কেন্দ্ৰীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্ৰকের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন সংস্থা দ্য এগ্ৰিকালচারাল অ্যান্ড প্ৰোসেসড ফুড প্ৰোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেণ্ট অথরিটি(এপিইডিএ)এলজিবিআই বিমানবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সেণ্টার স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন থেকে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এপিইডিএ সম্প্ৰতি পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে অসম থেকে লন্ডনে তাজা বিন(সিম)জাতীয় সবজির কনসাইনমেন্ট পাঠিয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এপিইডিএ মেঘালয়ের রি-ভোই জেলা থেকে তরতাজা আনারস এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের কমলা বিদেশের বাজারে সাফল্যের সঙ্গে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। এবছর ডিসেম্বরে দুবাইয়ে কমলা লেবু রপ্তানি করারও পরিকল্পনা নিয়েছে এপিইডিএ। ‘উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে আরও ফল ও শাকসবজি আমরা বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি’। কর্মকর্তাটি বলেন,এলজিবিআই-য়ে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের ব্যবস্থা চালু হলে উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে রপ্তানি বাণিজ্য আরও গতিশীল হয়ে উঠবে।