গুয়াহাটিঃ এসিএস আধিকারিকদের ঘাটতির জন্য রাজ্যে প্ৰশাসনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি প্ৰকল্পের কাজকর্ম চালানোর ক্ষেত্ৰেও পড়ছে বিরূপ প্ৰভাব। সরকারি পরিসংখ্যান অনু্যায়ী,বর্তমানে রাজ্যে এসিএস আধিকারিকের ২১৪টি পদ খালি পড়ে আছে। নতুন নিয়োগ না হওয়ায় ২০১৯ এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত এই ঘাটতির প্ৰভাব অব্যাহত থাকবে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার এপিএসসি কেলেংকারিতে বেশকিছু এসিএস আধিকারিক গ্ৰেপ্তার হওয়ায় এবং ১৯ জন এসিএস কর্তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার পর প্ৰশাসনিক ক্ষেত্ৰে আধিকারিকের অভাব চরমে ওঠে।
বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকা আরও ১৩ জন আধিকারিকের চাকরিও সুতোয় ঝুলছে। এদের পরিণতিও ওই ১৯ জনের মতোই হতে পারে। বর্তমানে ডিব্ৰুগড় পুলিশ এপিএসসি কেলেংকারি নিয়ে ২০১৫ ও ২০১৬ দুটো ব্যাচের এসিএস আধিকারিকদের ভূমিকা সম্পর্কে তদন্ত জারি রেখেছে। এই কেলেংকারি অসমে এপিএসসি-র ভিত রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে। কেলেংকারিতে আরও কিছু এসিএস আধিকারিককে গ্ৰেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯-এ এপিএসসি ৯৫টি এসিএস পদে কর্মী বাছাই করবে।