টংলাঃ ওদালগুড়ি জেলার ভারত-ভুটান সীমান্তপারের গ্ৰামগুলিতে হাতি-মানুষের সংঘাত লেগেই আছে গত বেশ কিছুদিন ধরে। একপাল বুনো হাতি গত সোমবার জেলার ডিমাকুচি থানা এলাকার বাদলাপাড়া টি এস্টেটে একজন মহিলাকে আক্ৰমণ করে। বীরসমণি বারা(৪৮)নামে মহিলা সোমবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ যখন চা পাতা তুলেছিলেন ওই সময় হাতি তাকে আক্ৰমণ করে। হাতির আক্ৰমণে মৃত্যু হয় মহিলাটির। বুনো হাতিরা তাঁর এক বন্ধু বন্ধন বারাকেও(৩৪)আক্ৰমণ করে। হাতির আক্ৰমণে বন্ধন বারা গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে বন্ধন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর জেলার ডিমাকুচি থানার অধীন বাদলাপাড়া টি এস্টেটে রূপালি টপ্পো নামের ১৬ বছর বয়সী একটি কিশোরীকে মেরে ফেলে বুনো হাতি। এই ঘটনার পর বাগান শ্ৰমিকের একটি বড়সড় দল বাগান ম্যানেজারের বাড়িটি ঘেরাও করেন। বাগান ম্যানেজার অরূপ বরুয়া শ্ৰমিকদের আশ্বাস দেন বাগান তদারক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্ৰস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেবে।
বরুয়া দ্য সেন্টিনেলের সঙ্গে আলোচনা করার সময় বলেন,‘নিহত ও আহতদের জন্য এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে আমি প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি’। তিনি আরও উল্লেখ করেন হাতিদের আটকাতে বিদ্যুতের বেড়া দেওয়ার যে দাবি উঠেছে সেটা কোনও উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা নয়। এতে হাতিদের করিডর বন্ধ হয়ে পড়বে। কারণ ওই সব করিডরই হাতিরা ব্যবহার করে থাকে। এই ব্যবস্থা প্ৰাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্ৰেও বাধার সৃষ্টি করবে। অক্টোবরের আজকের তারিখ পর্যন্ত ওদালগুড়ির সীমান্ত গ্ৰামগুলিতে হাতির আক্ৰমণে তিনজন ব্যক্তি প্ৰাণ হারিয়েছেন এবং একটি হাতিরও মৃত্যু হয়েছে।