কংগ্ৰেসের ইস্তাহারে অসমের সমস্যার ওপর আলোকপাত

গুয়াহাটিঃ অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটি(এপিসিসি)বৃহস্পতিবার এখানে তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার পুস্তিকা প্ৰকাশ করেছে। ইস্তাহারে কংগ্ৰেসের তরফ থেকে ফের উল্লেখ করা হয়েছে ক্ষমতায় এলে তারা উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে বিশেষ মর্যাদা দেবে,উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন নীতি(এনইআইআইপিপি)পুনরুজ্জীবিত করবে। বিতর্কিত নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিলের(ক্যাব)বিরোধিতা করা ছাড়াও সব প্ৰকৃত ভারতীয়র নাম যাতে রাষ্ট্ৰীয় নাগরিক পঞ্জিতে(এনআরসি)অন্তর্ভুক্ত হয় সেটা সুনিশ্চিত করবে দল। এছাড়াও রাজ্যের ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দেওয়া ছাড়াও বন্ধ হয়ে পড়া দুটো কাগজ কল পুনরুজ্জীবিত করবে। এগুলো হচ্ছে কংগ্ৰেসের ইস্তাহারে উল্লেখ করা কয়েকটি মূল পয়েন্ট। প্ৰদেশ কংগ্ৰেস সভাপতি রিপুন বরা ইস্তাহারটি প্ৰকাশ করেন। এর আগে দলের জাতীয় ইস্তাহারটি প্ৰকাশ করেন পঞ্জাবের অর্থমন্ত্ৰী মনপ্ৰিত সিং বাদল।
ইস্তাহার পুস্তিকার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমার লক্ষ্য আমার পণ’। এই ইস্তাহারে অসম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্ৰতি বিশেষভাবে আলোকপাত করেছে প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটি। বলা হয়েছে,দল ক্ষমতায় এলে উল্লিখিত কর্মসূচিগুলি রূপায়ণে বিশেষভাষে নজর দেওয়া হবে।
ইস্তাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে,দল হিন্দু বাংলাদেশিদের বিরোধী নয়। তবে ক্যাব এবং অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধাচরণই করবে দল। অসম চুক্তিতে উল্লিখিত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে কাট অফ ইয়ার ধরে সব বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করা হবে।
এনআরসি প্ৰসঙ্গে দলীয় ইস্তাহারে বলা হয়েছে দল চায় নাগরিক পঞ্জি নবায়নের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হোক এবং এতে সব ভারতীয়র নাম যেন অন্তর্ভুক্ত হয়।
কংগ্ৰেসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে,ক্ষমতায় এলে রাজ্যের বাগান অঞ্চলের ১০৮টি সাব-ট্ৰাইবসকে ছয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উপজাতির তালিকাভুক্ত করা হবে।
অসমের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়নের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়ে ইস্তাহারে আরও বলা হয়েছে,ভূমিহীন তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে দল। সরকারি ক্ষেত্ৰে থাকা ব্যাকলগগুলি পূরণ করা হবে। স্থানীয় মুসলিমদের রাজনৈতিক অধিকার সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের জন্য পৃথক সঞ্চালকালয় স্থাপন করবে।
বরাক উপত্যকার জন্য কংগ্ৰেস একটা পৃথক সেক্ৰেটারিয়েট কার্যকর করবে এবং শিলঘাটে বরাকের উপর একটি সেতু নির্মাণ করা ছাড়াও একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল স্থাপনেরও প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে ইস্তাহারে।
মহিলা সবলীকরণ,বেকার সমস্যা, বন্যা,ভাঙন ও শিক্ষা,স্বাস্থ্য,বন,পানীয় জল,যোগাযোগ,কুটির শিল্প,ক্ৰীড়া ও চলচ্চিত্ৰ শিল্প সহ বিভিন্ন ক্ষেত্ৰের বিকাশ সাধনেরও প্ৰস্তাব রেখেছে দল।