লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ফিফা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবে,এমন ভাবনা আর্জেন্টাইনদের অতি বড় শত্ৰুর মনেও আসেনি। আইচল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্ৰথম ম্যাচে মেসির পেনাল্টি মিস নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে হার দলকে ফেলে দেয় খাদের কিনারায়। নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে গ্ৰুপ-ডি-র শেষ ম্যাচটাই ছিল ভরসা। বিশ্বকাপের ময়দানে টিকে থাকতে হলে নাইজেরিয়াকে হারাতেই হবে। ম্যাচ ড্ৰ হলে চলবে না। মঙ্গলবার পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে একরাশ প্ৰতিশ্ৰুতি নিয়েই কালো ইঙ্গল নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। ৬৪ হাজার দর্শক ঠাসা স্টেডিয়ামে শুরু হল মহালড়াই। মেসি কি ম্যাজিক দেখাতে পারবেন-এমন প্ৰশ্ন ছিল বিশ্ববাসীর মনে। হলো ঠিক তাই। খেলার ১৪ মিনিটে কোমর দিয়ে বল আটকে মাঠের ডানপাশ থেকে নিখুঁতভাবে নাইজেরিয়ার ডিফেন্স ভেঙে জাল ভেদ করলেন মেসি। গোল এলো। উল্লাসে ফেটে পড়লেন ফ্যানরা। সত্যি এটাই মেসি ম্যাজিক। গোলের স্বাদ পেয়ে দর্শক আসনে লাফিয়ে ওঠলেন একসময়ের কিংবদন্তি ফুটবলার মারাডোনা। স্বস্তি পেলেন কোচ স্যামপাওলি। ওদিকে নাইজেরিয়ার দুর্ধর্ষ স্ট্ৰাইকার মুসাও মরিয়া। বার কয়েক আক্ৰমণ করলেন। তবে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ প্ৰতিপক্ষের সব আক্ৰমণ ঠেকালো সাফল্যের সঙ্গে। কিন্তু রাহুর দৃষ্টি যেন কাটছিল না আর্জেন্টাইনদের ওপর থেকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সে আর্জেন্টিনার ভুল পেনাল্টির সুযোগ করে দিল নাইজেরিয়াকে। ৫১ মিনিটে অনবদ্য পেনাল্টি শটে গোল করে সমতা ফেরালেন ভেক্টর মোসেস। আবার চাপে পড়ে গেল আর্জেন্টিনা। রুদ্ধশ্বাস,রোমাঞ্চকর ম্যাচ। ঘনঘন বল ঘুরছে মাঠের দুপাশে। অবশেষে এলো সেই সন্ধিক্ষণ। ৮৬ মিনিটে মার্কোস রোজো চোখ ধাঁধানো একটা গোল করে আর্জেন্টিনাকে ২-১ এগিয়ে নিলেন। দর্শক গ্যালারি ফেটে পড়ল বাঁধভাঙা আনন্দে। এই জয় মেসিদের নিয়ে গেল ১৬-র পারে।
Begin typing your search above and press return to search.