কার্বি আংলং জেলায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান

হাওরাঘাট/ডিফুঃ কার্বি আংলং জেলায় সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। ভূমি রাজস্ব বিভাগ এবং কার্বি আংলং স্বশাসিত পরিষদের বন বিভাগ পুলিশ ও এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্ৰেটের সহযোগিতায় সোমবার লঙ্কাইজান সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় বাংলাদেশিদের গড়ে তোলা ৬০০টি বেশি অবৈধ কাঠামো গুড়িয়ে দেয়। ডিফু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে লঙ্কাইজান সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা। সন্দেহভাজন বাংলাদেশিরা ওই এলাকার পুরোটাই দখল করে ঘরবাড়ি গড়ে তুলেছিল।
অধিকৃত জমিতে চাষবাসও করছিল তারা। অসমের হোজাই জেলার সীমান্তে কার্বি আংলং স্বশাসিত জেলায় রয়েছে ওই বিশাল বনাঞ্চল। গড়ে প্ৰতিটি পরিবার ওই এলাকার ৪০ বিঘারও বেশি জমি দখল করে রেখেছে। বনাঞ্চলের জমিতে বসবাসকারীদের হাতে বৈধ কোনও নথিপত্ৰ নেই। প্ৰশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় শনিবার। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার ১২০০ একর জমি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। দখল হওয়া জমির ৮০ শতাংশ এপর্যন্ত উদ্ধার করেছে প্ৰশাসন। উচ্ছেদ হওয়া লোকেদের মতে,ধুবড়ি,সাইগাঁও,মৈরাবাড়ি এবং নগাঁও থেকে তাদের লঙ্কাইজামে স্থানান্তর করা হয়েছিল। স্থানীয় গ্ৰাম প্ৰধানকে ম্যানেজ করে জমিগুলি তারা কব্জা করেছিল।
তবে দাবি অনু্যায়ী এই সব লোকেরা কোনও বৈধ নথিপত্ৰ দেখাতে পারেনি। সোমবার সকাল ৭ টায় উচ্ছেদ অভি্যান শুরু হয়। ৮টি এক্সকেভেটর এবং ৫০০ বন কর্মীকে কাজে লাগানো হয় উচ্ছেদ অভি্যানে। দুই জেলার সীমান্ত পানিনালা অবধি চলে উচ্ছেদ। ৫০০ পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানকে নামানো হয়েছিল উচ্ছেদ অভি্যানে। এদিন ভেঙে দেওয়া হয় ৬০০টি-র বাড়ি। উচ্ছেদ হওয়া লোকেদের কেউ কেউ দাবি করেছেন অধিকৃত জমির ওপর ভিত্তি করেই তারা এনআরসিতে নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। ‘এদিন আমরা ৫৫৪টির মতো বাড়ি ভেঙেছি। উচ্ছেদ হওয়া লোকেরা কোনওরকম বাধার সৃষ্টি করেনি। পুরো এলাকা দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত উচ্ছেদ চলবে। এলাকায় শান্তিরক্ষায় পুলিশি টহলদারি চলছে’। এই প্ৰতিবেদককে টেলিফোনে একথা জানান জেলা পুলিশ সুপার গৌরব উপাধ্যায়।