অসুস্থ তিনি বিগত অনেকগুলো বছর ধরেই। ফলে, ২০১৬ সালে যখন রটে গিয়েছিল যে কাদের খান আর ইহলোকে নেই, খবরটা বিশ্বাস করে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি কারও। কিন্তু তার পরে যখন খানদান এই খবরের নির্লজ্জ মিথ্যাচার প্রকাশ্যে নিয়ে আসে, কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত হন ভক্তরা!কিন্তু সেই নিশ্চিন্ত হওয়া সার্বিক নয়। কেন না, অসুস্থতা তখনও ছেড়ে যায়নি বলিউডের এই অভিনেতা, চিত্রনাট্যকারকে। সত্যি বলতে কী, ২০১৭ সালে কাদের বহু ছবির সহ-অভিনেতা শক্তি কাপুর যখন তাঁর হাঁটুর অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছিলেন, তখনও উদ্বেগ বেড়েছিল বই কমেনি ভক্তদের। কেন না শক্তি জানিয়েছিলেন, অস্ত্রোপচার সফল হলেও কাদেরের ইচ্ছা বা শারীরিক শক্তি- কোনোটাই হাঁটার মতো নয়। ফলে, তিনি হুইল চেয়ার ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করছেন না এবং পারছেন না!
সেই সব খবর পেরিয়ে এসে এ বার সব চেয়ে দুশ্চিন্তার খবর এল ২০১৮-এর শেষের দিকে। জানা গেল, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অভিনেতা। তিনি বর্তমানে ছিলেন লন্ডনে ছেলের কাছে, ওখানকারই এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। সাধারণ ভেন্টিলেটরের পরিবর্তে তাঁকে রাখা হয়েছে বাইপাপ ভেন্টিলেটরে। কিন্তু কাদেরের কথা বলার শক্তি নেই, তিনি কেবল চোখ মেলে তাকাতে পারছেন- এই পর্যন্তই। খবর মোতাবেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সহকর্মীর শারীরিক অবস্থার অবনতির এই খবর পেয়ে টুইট করেছেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি তাঁর টুইট মারফত কাদেরের দ্রুত আরোগ্যের প্রার্থনা জানিয়েছেন। লিখেছেন, শুধু তুখোড় অভিনেতাই নয়, কাদের প্রসিদ্ধ ছিলেন বহু সফল ছবির চিত্রনাট্যকার হিসেবেও। মঞ্চেও যেমন অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ তিনি, তেমনই তাঁর সুনাম রয়েছে দক্ষ গণিত-শিক্ষক হিসেবেও!