খিলঞ্জিয়ারাই অসমে রাজত্ব করবেন,জোনাইয়ে আলি আয়ে লৃগাং অনুষ্ঠানে বললেন মুখ্যমন্ত্ৰী

গুয়াহাটিঃ ‘অসম খিলঞ্জিয়াদের রাজ্য এবং ভবিষ্যতে ভূমিপুত্ৰ খিলঞ্জিয়ারাই রাজ্য শাসন করবেন। ভূমিপুত্ৰদের খাটো করে কোনও বিদেশিকে প্ৰভুত্ব করার সু্যোগ দেওয়া হবে না। মিসিং জনগোষ্ঠী কঠোর পরিশ্ৰমী উপজাতিদের অন্যতম এবং তাদের পরম্পরাগত সংস্কৃতি অসমিয়া সমাজকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশ্বের মঞ্চে অসমকে তুলে ধরার জন্য মিসিং যুবকদের দায়িত্ব নিতে হবে’। ধেমাজি জেলার জোনাইয়ে বুধবার আয়োজিত ‘আলি আয়ে লৃগাং’ উৎসবে রাজ্য পর্যায়ের অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথির আসন অলংকৃত করে কথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সোনোয়াল। রাজ্য সরকারের সাংস্কৃতিক সঞ্চালকালয় ধেমাজি জেলা প্ৰশাসনের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
সমাজের বুক থেকে কুসংস্কার,অন্ধবিশ্বাস ঘোচাতে মিসিং সম্প্ৰদায়ের যুবক-যুবতীদের শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান সঞ্চয়ের আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,আজকের প্ৰতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিশু,কিশোরদের সবল মানসিকতা তৈরির জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের গুরু দায়িত্ব পালন করতে হবে। মিসিংদের সাংস্কৃতিক পরম্পরা সংরক্ষণে জোনাইয়ে একটি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্ৰে নির্মাণ করা হবে বলে ঘোষণা করেন সোনোয়াল।
জোনাইয়ের অনেক মানুষ এখনও জমির পাট্টা পাননি। একথা উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,সরকার এবছর এক লক্ষ লোককে জমির পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা হলে স্থানীয় ভূমিপুত্ৰদের জমির ওপর তাদের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হবে। অসমের ভূমিপুত্ৰদের জমির অধিকার সংরক্ষণে রাজ্য সরকার হরিশঙ্কর ব্ৰহ্মের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে এবং শীঘ্ৰই একটি ভূমি নীতিও প্ৰস্তুত করা হবে। এরফলে রাজ্যে আর কোনও ব্যক্তি ভূমিহীন থাকবেন না-উল্লেখ করেন সনোয়াল।
জোনাইয়ে নিষ্ঠা,সততা ও উৎসাহের সঙ্গে পালিত আলি আয়ে লৃগাং উৎসব পালনের দৃশ্য দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন,আমাদের বৈচিত্ৰ্যপূর্ণ সংস্কৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে এসেছে। তিনি উঠতি যুব প্ৰজন্মকে কঠোর পরিশ্ৰমের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্বাবলম্বিতা অর্জনের লক্ষ্যে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।