গেরুয়া দলকে বিদায় জানানোর এটাই চরম সময়ঃ ভুবনেশ্বর

গেরুয়া দলকে বিদায় জানানোর এটাই চরম সময়ঃ ভুবনেশ্বর
Published on

টংলাঃ ‘২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই নির্বাচন দেশ এবং রাজ্যের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। জনগণকে ভুয়া প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা গেরুয়া দলকে এবার বিদায় জানানোর এটাই চরম সময়’-টংলা কংগ্ৰেস ভবনে শনিবার সন্ধ্যায় একথা বলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা অসম প্ৰদেশ কংগ্ৰেস কমিটির(এপিসিসি)প্ৰাক্তন সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা। উল্লেখ্য,কলিতা এবার মঙ্গলদৈ লোকসভা কেন্দ্ৰে কংগ্ৰেসের টিকিটে লড়ছেন। দলীয় কর্মী এবং জনগণ তাঁকে টংলা শহরে হিরোর সম্মানে স্বাগত জানান। ভেরগাঁও ব্লক কংগ্ৰেস কমিটি এবং কংগ্ৰেসের উদালগুড়ি শাখার সভাপতি বৃষ্টি বসুমতারি দলীয় প্ৰার্থীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন।

জনগণ এবং দলীয় কর্মীদের এক সমাবেশে প্ৰবীণ রাজনীতিক কলিতা বলেন,গেরুয়া দলের উন্নয়নমূলক কাজ ও প্ৰতিশ্ৰুতি শুধু বিলবোর্ড ও হোর্ডিঙের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। গেরুয়া দল প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল বিদেশের ব্যাংকে থাকা কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে প্ৰত্যেক নাগরিকের ব্যাংক অ্যাকাউণ্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে জমা করবে। আসলে ভোটার টানতে এগুলি ছিল বিজেপির রাজনৈতিক চমক’। তিনি বলেন,‘মোদি সরকার সহস্ৰাধিক কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ মকুব করতে পারে অথচ কৃষকদের জন্য ওই একই কাজ কেন তারা করতে পারলো না’?

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সম্পর্কে কলিতা বলেন,বিলের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় তিনি উঠেপড়ে প্ৰচারে নেমেছিলেন এবং অবশেষে তা সফলও হয়েছে।

বিজেপি সাংসদ রমেন ডেকা তার দুদফা কার্যকালে এবং ওই দলেরই নারায়ণ চন্দ্ৰ বরকটকি তার একদফা কার্যকালে রাজ্যসভায় দুর্বল পারফরম্যান্সের নজির রেখেছেন-উল্লেখ করেন কলিতা।

কংগ্ৰেস প্ৰার্থী কলিতা ঘরে ঘরে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্ৰচার চালাতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্ৰতি আহ্বান জানান।

logo
Sentinel Assam- Bengali
bengali.sentinelassam.com