Begin typing your search above and press return to search.

গোলাঘাটের বগিধলা চা বাগানে শ্ৰমিকদের পথ অবরোধ,পুলিশের লাঠি,শূন্যে গুলিচালনা

গোলাঘাটের বগিধলা চা বাগানে শ্ৰমিকদের পথ অবরোধ,পুলিশের লাঠি,শূন্যে গুলিচালনা

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  4 Jan 2019 1:26 PM GMT

গোলাঘাটঃ গ্ৰেপ্তার হওয়া তিন চা শ্ৰমিকের মুক্তির দাবিতে গোলাঘাট জেলার বগিধলা টি এস্টেটের শ্ৰমিকরা বৃহস্পতিবার সকালে পথে নেমে এলে পুলিশ তাদের ছত্ৰখান করতে লাঠিচার্জ,কাঁদানে গ্যাস প্ৰয়োগ করা ছাড়াও শূন্যে গুলি চালায়।

প্ৰাপ্ত রিপোর্ট মতে,বাগান মালিকের পেশ করা এক এফআইআর-এর ভিত্তিতে গোলাঘাট পুলিশ বুধবার বগিধলা চা বাগানের শ্ৰমিক জামুন তাঁতি,জগদীশ তাঁতি এবং রনি কুমারকে গ্ৰেপ্তার করে। বাগান মালিক সুধীর রায় ও সমীর রায়ের অভিযোগ,ওই তিন শ্ৰমিক বাগান থেকে সবুজ চা পাতা চুরির ঘটনায় জড়িত। এর পরই গোলাঘাট পুলিশ অভিযুক্ত শ্ৰমিকদের গ্ৰেপ্তার করে বুধবারই গোলাঘাট জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

এই ঘটনার পরিপ্ৰেক্ষিতে বগিধলা চা বাগানের শ্ৰমিকরা পুরাবাংলায় ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে গ্ৰেপ্তার শ্ৰমিকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে। প্ৰতিবাদকারীরা জেলা ও পুলিশ প্ৰশাসন এবং বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে ৩৯ নং জাতীয় সড়ক কাঁপিয়ে তোলেন। পথ অবরোধের খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক উৎপল দোলে,খরঙি রাজস্ব সার্কলের সার্কল অফিসার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্ৰুব বরা অবরোধ স্থলে ছুটে যান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ায় পুলিশ কর্মীরা লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস প্ৰয়োগ করতে বাধ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্ৰণে না আসায় পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। এই ঘটনায় পাঁচ পুলিশ কর্মী এবং কমপক্ষেও ১২ জন চা শ্ৰমিক আহত হন।

উল্লেখ্য,বগিধলা চা বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। বাগান কর্তৃপক্ষ ১৯৯২ সাল থেকে আজ অবধি শ্ৰমিকদের ভবিষ্যনিধি,গ্ৰ্যাচুয়িটি,রেশন,বোনাস ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত করে ৬৮ লক্ষেরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে ২০১৭ সালে এই বাগানে প্ৰেকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বেশকিছু শ্ৰমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। পরে বাগান বাগান মালিক সুধীর রায় ও সমীর রায়কে গ্ৰেপ্তার করে গোলাঘাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালের ৩ ফেব্ৰুয়ারি জেলা প্ৰশাসন বগিধলা চা বাগানে লকআউট ঘোষণা করে। এরই মধ্যে বাগানে একটি তৃতীয় পক্ষের প্ৰবেশ ঘটে এবং তারাই বাগানের সবুজ চা পাতা চুরির ঘটনায় জড়িত। বাগান কর্তৃপক্ষ স্থানীয় থানায় প্ৰায় ৫৬টি মামলা নথিভুক্ত করেন। অবশেষে গোলাঘাট জেলা ও পুলিশ প্ৰশাসনের অবহেলা ও উদাসীনতার ফলে বগিধলা চা বাগান ফের এমন ঘটনা ঘটে।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম