ছয় জনগোষ্ঠীর উপজাতির মর্যাদা সম্পর্কে ১৫ ফেব্ৰুয়ারি কেন্দ্ৰের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে জিওএম

গুয়াহাটিঃ অসমের ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দিতে কেন্দ্ৰের নির্দেশেই গঠিত হয়েছে মন্ত্ৰী পরিষদ(জিওএম)। কীভাবে ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দেওয়া যাবে এবং রাজ্যের অন্যান্য উপজাতি সম্প্ৰদায়ের অধিকার রক্ষায় এবং তাদের যাতে কোনওরকম ক্ষতি না হয় সে সম্পর্কে বিভিন্ন দাবিদারদের সঙ্গে পর্যায়ক্ৰমে আলোচনার পর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণের সুপারিশ করে মন্ত্ৰী পরিষদ আগামি ১৫ ফেব্ৰুয়ারি তাদের রিপোর্ট কেন্দ্ৰের কাছে দাখিল করবে।
মন্ত্ৰী পরিষদ উপজাতি গবেষণা প্ৰতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে ছয় জনগোষ্ঠীর প্ৰকৃত জনসংখ্যা সম্পর্কে তথ্য সংগ্ৰহ করবে। রবিবার দিশপুরে মন্ত্ৰী পরিষদের প্ৰথম দফার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ৯ জানুয়ারি সংবিধানে(তফশিলি উপজাতি)নির্দেশ(সংশোধনী)বিল রাজসভায় উত্থাপনের পরিপ্ৰেক্ষিতে কেন্দ্ৰের নির্দেশে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের এই মন্ত্ৰী পরিষদ(জিওএম)। ওই বিলে রাজ্যের ছয় জনগোষ্ঠী-কোচ রাজবংশী,তাই আহোম,চুটিয়া,মরান,মটক ও অসমের চা জনগোষ্ঠীকে উপজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার প্ৰস্তাব রাখা হয়েছে।
মন্ত্ৰী পরিষদ যথাক্ৰমে আগামি ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ট্ৰাইবেল সংঘ ও বিটিসি-র প্ৰতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে। ৩০ জানুয়ারি ছটি পরিষদের সঙ্গে আলোচনা হবে মন্ত্ৰী পরিষদের। এরপর উপজাতির মর্যাদা চাওয়া ছয় জনগোষ্ঠীর প্ৰতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে মন্ত্ৰী পরিষদ। এদিনের বৈঠক শেষে মন্ত্ৰী পরিষদের অধ্যক্ষ মন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেন,ছয় জনগোষ্ঠীকে উপজাতির মর্যাদা দিতে গিয়ে অন্যান্য উপজাতি জনগোষ্ঠীর যাতে কোনও ক্ষতি না হয় এবিষয়টির গভীরে তলিয়ে দেখতেই মন্ত্ৰী পরিষদের প্ৰথম দফার বৈঠকটি ডাকা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন ও দাবিদারদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরই মন্ত্ৰী পরিষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে –জানান শর্মা।
মন্ত্ৰী পরিষদের রবিবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পল্লবলোচন দাস,নব কুমার দোলে,চন্দন ব্ৰহ্ম। পরিষদের জন্য একজন সদস্য মন্ত্ৰী তপন গগৈ এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।