গুয়াহাটিঃ উজানবাজার এলাকায় থাকা শতাব্দী পুরনো উগ্ৰতারা দেবালয়ে ভগবতীর অষ্টধাতুর বিগ্ৰহ,সোনা-রুপোর অলঙ্কার ও নগদ অর্থ চুরি যাওয়ার ঘটনায় লতাশিল থানার বিরুদ্ধে মানুষ যখন ক্ষোভে ফুঁসছেন,সে সময়ে ওই থানায় জনশক্তি ও পরিকাঠামোগত সু্যোগ সুবিধার অভাব থাকার বিষয়টিও প্ৰকাশ্যে চলে এসেছে। সমাজবিরোধী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়াতে গুয়াহাটির সমস্ত পুলিশ বাহিনী ও প্ৰতিষ্ঠানগুলিকে তথাকথিত আধুনিকীকরণের কথা বলা হলেও বাস্তব চিত্ৰ অন্য কথা বলছে। গুয়াহাটির বাসিন্দারা সমাজবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যতটা পুলিশি তৎপরতার প্ৰয়োজন বলে মনে করেন ততটা তারা পাচ্ছেন না। সম্প্ৰতি দ্য সেন্টিনেলের তরফে লতাশিল থানার চালচিত্ৰ সম্পর্কে এক পরীক্ষা নিরীক্ষায় উল্লিখিত বিবৃতির বাস্তব চিত্ৰকেই তুলে ধরছে।
সূত্ৰটির মতে,বর্তমানে লতাশিল থানার ওসি ছাড়া পাঁচটি মঞ্জুরিকৃত পদের মধ্যে মাত্ৰ ২জন সাব-ইন্সপেক্টর রয়েছেন। ৩টি মঞ্জুরিকৃত সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর পদের মধ্যে আছেন দুজন এএসআই। দুজন মহিলা সহ কনস্টেবল আছেন ১২ জন। অথচ কনস্টেবলের সেংশন পোস্ট হলো ৩০টি। সেই অনু্যায়ী লতাশিল থানায় হোমগার্ড রয়েছেন মাত্ৰ ১০ জন। অথচ এই থানা মুষ্টিমেয় কর্মী নিয়ে টহলদারি,কয়েদি আনা নেওয়া,মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো,আদালতে যাতায়াতের মতো জরুরি সেবাগুলি দীর্ঘ বছর থেকে চালিয়ে যাচ্ছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো,লতাশিল থানার কর্মীদের জন্য কোয়ার্টারেরও কোনও ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে থানার অফিসার ও অন্যান্য কর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাড়িতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই জরুরিকালীন সময়ে থানার কর্মীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে যে প্ৰচণ্ড চাপ ও ধকল সইতে হয় তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে,লতাশিল থানার অদূরে রাজভবন,ব্ৰহ্মপুত্ৰ রাজ্য অতিথিশালা,জেলাশাসকের বাংলো,জাজদের বাংলো,হাইকোর্ট,ম্যাজিস্ট্ৰেট কলোনি,রাজনৈতিক দল অগপ,বিজেপি,সিপিআই(এম)-এর কার্যালয়,তারা মণ্ডল,ডন বসকো,শহিদ নিবাসভবন,কটন কলেজ ও সন্দিকৈ গার্লস কলেজ,রবীন্দ্ৰ ভবন,জাদুঘর ইত্যাদির মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্ৰতিষ্ঠান ও বাড়ি রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত জনশক্তির অভাব এবং দুর্বল ও প্ৰায় পঙ্গু পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা নিয়ে লতাশিল থানার পুলিশ যেকোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা কিভাবে করবে তা সঽজেই অনুমেয়। স্মার্ট পুলিশের জন্য স্মার্ট পরিকাঠামো থাকাটা খুবই জরুরি।