ত্ৰিপুরার শরণার্থী শিবির থেকে মিজোরামে ফিরলেন ১৩১ জন রিয়াং উপজাতি

আগরতলাঃ ত্ৰিপুরার শরণার্থী শিবিরে আশ্ৰিত মোট ৩২,৮৭৬ জন মিজো উপজাতি শরণারর্থীর মধ্যে মাত্ৰ ১৩১ জন নিজেদের গৃহভূমি মিজোরামে ফিরে এসেছেন। মিজোরামের এই সব শরণার্থী গত ২১ বছর ধরে ত্ৰিপুরার শরণার্থী শিবিরে আশ্ৰিত রয়েছেন। এই ১৩১ জন শরণার্থী ফিরে আসায় বাকিদেরও স্বভূমিতে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ফিরে আসা ব্যক্তিরা মোট ২১টি পরিবারের সদস্য।
কাঞ্চনপুরের সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্ৰেট আবেদানন্দ বৈদ্য সংবাদ সংস্থাকে টেলিফোনে বলেছেন,‘আমরা শরণার্থীদের ত্ৰিপুরা-মিজোরাম সীমান্তে পৌঁছতে যুক্তিগত সমর্থন ও নিরাপত্তা দিয়েছি’। তিনি বলেন,মিজোরামের মামিট জেলার কর্মকর্তারা ঘর ফিরতি মিজো উপজাতিদের কানমুন সীমান্তে স্বাগত জানিয়েছে। নয়াদিল্লিতে জুলাইয়ে কয়েক দফা বৈঠকের পর মিজো শরণার্থীদের ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এব্যাপারে ত্ৰিপুরা,মিজোরাম সরকার,কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰক ও মিজোরাম ব্ৰু ডিসপ্লেসড্ পিপলস ফোরামের(এমবিডিএএফ)মধ্যে চুক্তি সই হয়েছিল স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰী রাজনাথ সিং,ত্ৰিপুরা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্ৰী বিপ্লব কুমার দেব ও লালথানহাওলার উপস্থিতিতে।
চুক্তি অনু্যায়ী ঠিক হয়েছিল প্ৰতিটি রিয়াং পরিবারকে ৪ লাখ করে টাকা,মাসিক ৫ হাজার টাকা,এবং ঘর বানাতে ১.৫ লক্ষ এবং দুবছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা। ৫৪০৭টি রিয়াং পরিবারের ৩২,৮৭৬ জন শরণার্থীর ১৬ ও ১৭ আগস্টের মধ্যে মিজোরামে ফেরা ঠিক হয়েছিল। কিন্তু রিয়াং শরণার্থীরা নিরাপত্তা ও চাষবাসের জন্য পর্যাপ্ত জমির দাবি ও রিয়াং উপজাতিদের জন্য এলাকা উন্নয়ন গঠনের দাবি করে মিজোরামে ফেরার ব্যাপারে বেঁকে বসেন।