
দিউর জেলে একমাত্ৰ কয়েদি ৩০ বছর বয়সী দীপক কাঞ্জি এখন নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন। জেলে ২০ জন কয়েদির থাকার ব্যবস্থা আছে। একটা টিভি,কম্বল,জলের পাত্ৰ ছাড়া ৫০ বর্গ মিটার খোলা জায়গা আছে হাঁটা-চলার জন্য। কাঞ্জিই এখন এই জেলের একমাত্ৰ কয়েদি। কাঞ্জি জেল থেকে বেরিয়ে এলে ৪৭২ বছরের পুরনো পর্তুগীজদের নির্মিত দুর্গটি ভারতীয় প্ৰত্নতত্ত্ব বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে। দীপক দিনের শেষে দুঘণ্টা আত্মীয়স্বজন এলে একটু কথা বলার সুযোগ পান। বাকি সময়টা কাটে নিঃসঙ্গতায়। ৫ জন রক্ষী ও একজন সাব জেলার কাঞ্জির পাহারায় রয়েছেন। পাশের একটি হোটেল কাঞ্জির খাবার দিয়ে যায়। স্ত্ৰীকে বিষ প্ৰয়োগে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে কাঞ্জিকে গত ডিসেম্বরে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতে ঝুলছে তার মামলা। প্ৰত্নতাত্ত্বিক বিভাগ দুর্গটি বন্ধ করে সেটিকে পর্যটন কেন্দ্ৰে রূপান্তর করতে চাইছে। জেলটি বন্ধ করার প্ৰক্ৰিয়া শুরু হয় গত বছর থেকে। সাত কয়েদির মধ্যে ৪ জনকে গুজরাটের আমরেলিতে পাঠানো হয়। দিউর দায়রা আদালতে কাঞ্জির মামলার শুনানি চলছে। তবে পরে তাকে অন্যত্ৰ সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এই দুর্গটি দিউতে পর্তুগিজ শাসনের স্মৃতিকেই তুলে ধরছে।