Begin typing your search above and press return to search.

দূষিত জল পানে মৃত্যুর ঘটনায় অসম দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে

দূষিত জল পানে মৃত্যুর ঘটনায় অসম দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে

Sentinel Digital DeskBy : Sentinel Digital Desk

  |  29 Oct 2018 1:18 PM GMT

গুয়াহাটিঃ দূষিত জল পান করে ডায়েরিয়া এবং টাইফয়েড জাতীয় জ্বরে আক্ৰান্ত হয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনায় অসম হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় রাজ্য। দূষিত জলই ডায়েরিয়া এবং টাইফয়েড জাতীয় জ্বরের মূল কারণ। দূষিত জল পানে মৃত্যুর ক্ষেত্ৰে উত্তর প্ৰদেশ রয়েছে শীর্ষ স্থানে।

২০১৭ সালে অসমে ডায়েরিয়া বা উদরাময় জাতীয় রোগে আক্ৰান্তের সংখ্যা ১,৬৫,৩৭৭ জন বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে এবং এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৩৯ জন। তবে এই সময়কালে অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ,বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে এজাতীয় রোগে আক্ৰান্তের সংখ্যা আরও বেশি বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই তিন রাজ্যে আক্ৰান্তের সংখ্যা ক্ৰমে ১১,৬৩,৭০৭, ৩,০৯,২৮৭ এবং ১৮,৮৮,৭৯৪ জন। তবে এই তিন রাজ্যে এ জাতীয় রোগে আক্ৰান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্ৰমে ৫০,১৯ ও ১১৫ জন,যা অসমের তুলনায় অনেক কম। উত্তরপ্ৰদেশে এই সময়সীমায় এজাতীয় রোগে আক্ৰান্তের সংখ্যা ১২,১৯,০৭১ জন এবং এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩০২ জনের,যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

২০১৭ সালে অসমে এণ্টারিক(টাইফয়েড)রোগে আক্ৰান্তের সংখ্যা ১৫,১৩৭ জন বলে রিপোর্ট রয়েছে এবং এঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। বিহার এবং কর্নাটকে এজাতীয় রোগে আক্ৰান্তের সংখ্যা অসমের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যু হয়েছে ক্ৰমে দুই ও ৪ জনের। টাইফয়েড জাতীয় জ্বরে উত্তর প্ৰদেশে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এজাতীয় রোগে উত্তর প্ৰদেশে আক্ৰান্ত ৪০,৬৭৮ জনের মধ্যে ২৪৮ জন মারা গেছে,যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। সেন্ট্ৰাল ব্যুরো অফ হেলথ ইনটেলিজ্যান্সের তরফ থেকে ২০১৮ তে প্ৰকাশিত ন্যাশনাল হেলথ প্ৰোফাইলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্ৰের এই দুর্বল চিত্ৰ প্ৰকাশ্যে চলে আসে। ২০১৬তে অসমে এণ্টারিককে আক্ৰান্ত হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৯,৩২৮ জন। তবে এদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন সিনিয়র অধ্যাপক দ্য সেন্টিনেলকে বলেছেন দূষিত জল থেকেই ডায়েরিয়া এবং টাইফয়েডের মতো রোগ হচ্ছে। অসমে ফি বছরই বন্যার পর জল দূষিত হয়ে পড়ে এবং ওই জল পান করেই ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আক্ৰান্ত হন। বিলম্বে চিকিৎসা করানো এবং সচেতনতার অভাবেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

Next Story
সংবাদ শিরোনাম