নাগরিকত্ব ইস্যুতে প্ৰধানমন্ত্ৰীর বিবৃতির বিরোধিতা দেবব্ৰত শইকিয়ার

গুয়াহাটিঃ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া বলেছেন,পড়শি দেশগুলি থেকে ভারতে আসা হিন্দুদের আশ্ৰয় দেওয়া নিয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি প্ৰকাশ্যে যে ঘোষণা করেছেন তা ওই দেশগুলিতে হিন্দুদের ওপর সন্ত্ৰাসের রাজ কায়েমেই উস্কানি দেবে।
দিশপুরে সোমবার কংগ্ৰেস বিধান পরিষদীয় দলের(সিএলপি)বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শইকিয়া বলেন,‘প্ৰধানমন্ত্ৰীর ওই বিবৃতি পড়শি দেশগুলিতে শুধু মৌলবাদীদের জন্ম দেবে এবং তারা ওখানে থাকা হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্ৰদায়ের ওপর সন্ত্ৰাসের রাজ চালাবে এবং তাদের বাধ্য করবে ভারতে পালিয়ে আসতে’। শইকিয়া বলেন,বাংলাদেশ সংসদে ১৮ জন হিন্দু সাংসদ রয়েছেন।
সিএলপি নেতা নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯ বাতিল করার জন্য কেন্দ্ৰকে অনুরোধ জানান। ‘সারা ভারত কংগ্ৰেস কমিটি(এআইসিসি)রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’-উল্লেখ করেন তিনি।অসম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন সম্পর্কে প্ৰধানমন্ত্ৰী যে বিবৃতি দিয়েছেন সে সম্পর্কে প্ৰতিক্ৰিয়া ব্যক্ত করে শইকিয়া বলেন,প্ৰকৃত চিত্ৰ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতেই মোদি এমন বিবৃতি দিয়েছেন। কেন্দ্ৰে ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে রেল বাজেটে নিউ বঙাইগাঁও-আগিয়াথুরির মধ্যে ডাবল লাইন বসানোর প্ৰস্তাব করা হয়েছিল। তা আজও বাস্তবের মুখ দেখেনি। মাজুলির মধ্যে সংযোগ সাধনে একটি সেতুর প্ৰস্তাব করা হয়েছিল। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী নীতিন গাড়করি এই প্ৰকল্পের শিলান্যাসও করেছিলেন। কিন্তু এখন প্ৰকল্পটি হিমঘরে পড়ে আছে। অসম এবং উত্তর পূর্বের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে বিমান যোগাযোগ গড়ে তোলার প্ৰস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু তা অবনমিতই হয়েছে। গুয়াহাটি-আইজল এবং গুয়াহাটি এবং যোরহাটের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ প্ৰত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে’।
সিএলপি নেতা আরও বলেন,‘রাজ্যে কয়লা সিন্ডিকেট এখন সক্ৰিয়। এই সব সিন্ডিকেট তারাই চালাচ্ছে যাদের সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে’। কয়লা সিন্ডিকেট সম্পর্কে সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করা উচিত-দাবি করেন শইকিয়া।